শাহাজানপুর (উত্তরপ্রদেশ), 31 ডিসেম্বর: লখনউ-দিল্লি জাতীয় সড়কে অবস্থিত কাছিয়ানি খেদার হনুমান মন্দির স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে (Hanuman Temple of Kachhiani Kheda Moved Back 8 Feet) ৷ জাতীয় সড়ক চওড়া করা হবে ৷ সেই কারণে মন্দির বর্তমানে যে জায়গায় অবস্থিত সেই জমির দখল নিচ্ছে কেন্দ্র ৷ সেই কারণে কাছিয়ানি খেদার হনুমান মন্দির সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মন্দিরটিকে জ্যাকের সাহায্য মূল ভিত থেকে 8 ফুট পিছনে সরানো হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে লখনউ থেকে দিল্লিগামী জাতীয় সড়ক চওড়া করার কাজ চলছে ৷ যার জন্য সরকারকে জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কিছুটা জমি দখল করতে হচ্ছে ৷ আর সেই দখল প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে এসেছে লখনউ-দিল্লি জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত কাছিয়ানি খেদার হনুমান মন্দির ৷ সেই কারণ, মন্দিরটিকে না ভেঙে বর্তমান আধুনিক পদ্ধতিতে ভিত থেকে আলাদা করে পিছনের দিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ আর দ্রুতার সঙ্গে চলা এই কাজে এখনও পর্যন্ত মূল ভিত থেকে হনুমান মন্দিরটিকে 8 ফুট পিছনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
মন্দিরটি সরানোর জন্য, হরিয়ানার ‘জয় দূর্গে লিফটিং এবং শিফটিং কোম্পানি’ মন্দিরের নীচে একটি চ্যানেল নেট বিছিয়ে সেটিকে জ্যাকের সাহায্যে ধীরে ধীরে পিছনের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে ৷ এই হনুমান মন্দিরটি প্রায় 15 বর্গ মিটারের মধ্যে অবস্থিত ৷ আয়তনে 64 ফুট দীর্ঘ ও 36 ফুট চওড়া এই মন্দিরটিকে পিছনের দিকে সরানো হচ্ছে ৷ এই কাজ হয়ে গেলে সেখানে থাকা হনুমানের বিশাল মূর্তিটিকে আবারও বসিয়ে দেওয়া হবে ৷ জানা গিয়েছে, পুরো মন্দিরটিকে সরাতে প্রায় 1 মাস সময় লাগবে ৷ আর এই স্থানান্তরকরণের রূপরেখা তৈরি করতে বেশ কয়েকমাস ধরে কাজ চলেছে ৷
আরও পড়ুন: ভাঙতে নারাজ মালিক, 26 ফুট দূরে সরানো হচ্ছে চারতলা বাড়ি
যে সংস্থা এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে, তাদের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, খুব দ্রুত তারা মন্দিরটিকে তার নতুন নির্ধারিত জায়গায় বসিয়ে দেবেন ৷ এসডিএম তিলহার রাশি কৃষ্ণ জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে হনুমান মন্দির স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছিল ৷ দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা তৈরি করা ৷ তার পর মন্দিরের উপরের সম্পূর্ণ কাঠামোকে মূল ভিত থেকে আলাদা করা ৷ এমনকি নতুন যে স্থানে মন্দির সরানো হচ্ছে, সেখানে গর্ত খুড়ে ভিত তৈরি করার দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে ৷ তবে, মন্দির সরানোর কাজ একবার শুরু হতেই তা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসডিএম ৷