ETV Bharat / bharat

পরিবারের তিন সদস্যকে খুন, যাবজ্জীবন সাজা দোষীকে - খুন

পরিবার ঋণে জর্জরিত ৷ তাই বাবার সাহায্যে মা, স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করে এক ব্য়ক্তি ৷ অথচ ভয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনি বাবা-ছেলে ৷ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিল আদালত ৷ গুজরাতের রাজকোটের ঘটনা ৷

Guj: Man sentenced to life for killing three family members
পরিবারের তিন সদস্যকে খুন, যাবজ্জীবন সাজা দোষীকে
author img

By

Published : Jun 2, 2021, 9:02 PM IST

রাজকোট, 2 জুন : পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত এক ব্য়ক্তিকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল গুজরাতের রাজকোটের একটি আদালত ৷ সূত্রের খবর, 42 বছরের ওই ব্য়ক্তি তার বাবার সাহায্য়ে বাকিদের খুন করেছিল ৷

ঘটনাটি ঘটে 2017 সালের অক্টোবর মাসে ৷ স্ত্রী দীপালি (36) মা ভারতী (63) এবং ছেলে মাধবকে (5) খুন করে অল্পেশ ভাজানি নামে ওই ব্য়ক্তি ৷ মামলা চলাকালীন অল্পেশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৷ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷ মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পি এন দাভে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, একসঙ্গে তিনজনকে খুনের পর অল্পেশ ও তার বাবা 67 বছরের জিতু ভাজানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয় ৷ যার ভিত্তিতেই অল্পেশ ও তার বাবাকে পাকড়াও করে পুলিশ ৷ ওই সুইসাইড নোটটি অল্পেশেরই লেখা ৷ তাতে সে দাবি করেছিল, তাদের পুরো পরিবার ঋণে জর্জরিত ৷ তার উপর অল্পেশের মা ভারতী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন ৷ তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে পথে বসার দশা হয়েছিল পরিবারের বাকি সদস্যদের ৷ এরপরই পরিবারের সকলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি অল্পেশের ৷

আরও পড়ুন : কুস্তিগীর খুনের ঘটনায় আরও চারজন গ্রেফতার

কিন্তু বাকিদের খুন করলেও অল্পেশ ও তার বাবা নিজেদের মারতে পারেনি ৷ প্রথমে তারা বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ৷ তাতে সফল না হওয়ায় রেললাইনে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ কিন্তু ভয়ে দু’টোর কোনওটাই করে উঠতে পারেনি বাবা-ছেলে ৷ অথচ তার আগেই তারা দু’জনে নিজেদের হাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের নির্মমভাবে খুন করেছে ৷ অল্পেশ তার স্ত্রী ও মায়ের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁদের জীবন শেষ করে দেয় ৷ একইভাবে খুন করে পাঁচ বছরের ছেলেটাকেও ৷

আদালতে এই সুইসাইড নোটই ছিল অল্পেশের বিরুদ্ধে সবথেকে দৃঢ় প্রমাণ ৷ ওই নোটের হাতের লেখা অল্পেশেরই কিনা, তাও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানো হয় ৷ তাঁরা জানান, অল্পেশই ওই সুইসাইড নোট লিখেছে ৷

রাজকোট, 2 জুন : পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত এক ব্য়ক্তিকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল গুজরাতের রাজকোটের একটি আদালত ৷ সূত্রের খবর, 42 বছরের ওই ব্য়ক্তি তার বাবার সাহায্য়ে বাকিদের খুন করেছিল ৷

ঘটনাটি ঘটে 2017 সালের অক্টোবর মাসে ৷ স্ত্রী দীপালি (36) মা ভারতী (63) এবং ছেলে মাধবকে (5) খুন করে অল্পেশ ভাজানি নামে ওই ব্য়ক্তি ৷ মামলা চলাকালীন অল্পেশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৷ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷ মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পি এন দাভে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, একসঙ্গে তিনজনকে খুনের পর অল্পেশ ও তার বাবা 67 বছরের জিতু ভাজানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয় ৷ যার ভিত্তিতেই অল্পেশ ও তার বাবাকে পাকড়াও করে পুলিশ ৷ ওই সুইসাইড নোটটি অল্পেশেরই লেখা ৷ তাতে সে দাবি করেছিল, তাদের পুরো পরিবার ঋণে জর্জরিত ৷ তার উপর অল্পেশের মা ভারতী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন ৷ তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে পথে বসার দশা হয়েছিল পরিবারের বাকি সদস্যদের ৷ এরপরই পরিবারের সকলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি অল্পেশের ৷

আরও পড়ুন : কুস্তিগীর খুনের ঘটনায় আরও চারজন গ্রেফতার

কিন্তু বাকিদের খুন করলেও অল্পেশ ও তার বাবা নিজেদের মারতে পারেনি ৷ প্রথমে তারা বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ৷ তাতে সফল না হওয়ায় রেললাইনে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ কিন্তু ভয়ে দু’টোর কোনওটাই করে উঠতে পারেনি বাবা-ছেলে ৷ অথচ তার আগেই তারা দু’জনে নিজেদের হাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের নির্মমভাবে খুন করেছে ৷ অল্পেশ তার স্ত্রী ও মায়ের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁদের জীবন শেষ করে দেয় ৷ একইভাবে খুন করে পাঁচ বছরের ছেলেটাকেও ৷

আদালতে এই সুইসাইড নোটই ছিল অল্পেশের বিরুদ্ধে সবথেকে দৃঢ় প্রমাণ ৷ ওই নোটের হাতের লেখা অল্পেশেরই কিনা, তাও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানো হয় ৷ তাঁরা জানান, অল্পেশই ওই সুইসাইড নোট লিখেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.