আমেদাবাদ, 10 ডিসেম্বর : কারও খাদ্যাভাসের উপর কীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেতে পারে ৷ শুক্রবার এই প্রশ্ন তুলল গুজরাত হাইকোর্ট (gujarat high court ask how anyone can impose ban on food habit) ৷ যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সম্প্রতি রাস্তায় বিক্রি হওয়া আমিষ খাবার বিক্রি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেদাবাদ পৌরনিগম ৷ তারা এই ধরনের দোকান বন্ধে অভিযানও শুরু করে ৷ তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন 20 জন ব্যবসায়ী ৷
বৃহস্পতিবার গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় ৷ সেখানেই বিচারপতি এই প্রশ্ন তোলেন ৷ আদালত সূত্রে খবর, তিনি এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ৷ আমেদাবাদ পৌরনিগমের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনাদের সমস্যা কী ? আপনি কী করে ঠিক করেন যে, আমি আমার বাড়ির বাইরে গিয়ে কী খাব ? খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কী করে আপনারা মানুষকে বাধা দিতে পারেন ? ক্ষমতায় থাকলে কি কেউ যা মনে করে তাই করতে পারে, এটাই কি কারণ ?’’
যে আবেদন ওই ব্যবসায়ীরা আদালতের কাছে দিয়েছিলেন, সেখানে বলা হয়েছে রাজকোটের একজন নেতা এই ধরনের খাবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন ৷ তার পরই এই নিয়ে পদক্ষেপ করা শুরু হয় ৷ কারণ হিসেবে বলা হয়, এই খাবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে বিক্রি করা হয় না ৷
এর পর ক্ষিপ্ত বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘পৌর-কমিশনার কি ঠিক করতে পারেন যে আমি কী খাব ? আগামিকাল তাঁরা আমাকে বলতেই পারেন যে আখের রস খাবেন না, কারণ তাতে ডায়াবেটিস হয় ৷ না হয় বলতে পারেন কফি স্বাস্থ্যের খারাপ, তাই খাবেন না ৷’’
আদালত সূত্রে খবর, বেআইনি দখলদার হঠাতে এই অভিযান বলে আমেদাবাদ পৌরনিগমের আইনজীবী জানিয়েছিলেন ৷ তা শুনেও বিচারপতি ভর্ৎসনা করেন ৷ জেদের বশে এই কাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ৷ যদিও আমেদাবাদ পৌরনিগমের তরফে কিছু ছবি দেখানো হয় আদালতে ৷ জানানো হয় যে, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা যাঁরা করছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয় ৷ সব আমিষ দোকান তুলে দেওয়া হয়নি ৷
আরও পড়ুন : Anti Lynching Bill in Jharkhand : গণপিটুনি বিরোধী বিল আনছে ঝাড়খণ্ড সরকার
শেষে আদালত এই মামলার নিষ্পত্তি করে ৷ জানিয়ে দেয় যে শুধু বেআইনি দখলদারদের হঠাতেই এই অভিযান চালানো যাবে ৷