মুম্বই, 15 মে: কর্ডেলিয়া ক্রুজ মামলায় সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ৷ নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রাক্তন প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে যে, এই মামলার একজন 'স্বাধীন সাক্ষী' কেপি গোসাভি আরিয়ান খানের পরিবারের কাছ থেকে 25 কোটি টাকা তোলাবাজির ছক কষেছিলেন ।
এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, কেপি গোসাভি এবং তাঁর সহযোগী সানভিল ডি'সুজা তোলাবাজির ষড়যন্ত্র করেছিলেন । আরিয়ান খানের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য রাখার অপরাধের হুমকি দিয়ে 25 কোটি টাকা আদায় করার ছক কষেছলেন তাঁরা । দর কষাকষির পর সেই পরিমাণ টাকা শেষ পর্যন্ত কমিয়ে করা হয় 18 কোটি । কেপি গোসাভি এবং তাঁর সহযোগী সানভিল ডি'সুজাও ঘুষ হিসেবে 50 লক্ষ টাকা নিয়েও ফেলেছিলেন কিন্তু পরে তাঁরা সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেন ৷ এফআইআর-এর এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে ।
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ক্রুজের মাদক মামলার তদন্তের নেতৃত্বে থাকা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই ৷ তিনিই কেপি গোসাভি এবং প্রভাকর সেলকে স্বাধীন সাক্ষী হিসাবে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন । অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে যখন এনসিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁকে সামলানোর জন্য যাতে গোসাভিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, ভিভি সিং-কে সেই নির্দেশই দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে ৷
এর ফলে ফ্রিহ্যান্ড পেয়ে যান কেপি গোসাভি ৷ যার ফলে হেফাজতে আরিয়ান খানের সঙ্গে তাঁর ছবিও প্রকাশ্যে আসে ৷ শাহরুখ-পুত্রকে এনসিবি মুম্বই অফিসের দিকে টেনে নিয়ে যেতেও দেখা যায় গোসাভিকে ৷ শুক্রবার কর্ডেলিয়া জাহাজের মালিকদের কাছ থেকে 25 কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে মিডিয়া স্ক্যানারে থাকা আইআরএস অফিসারের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর দায়ের করেছে । তদন্ত সংস্থা এনসিবি-র প্রাক্তন মুম্বই জোনাল চিফের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: যথাযথ তদন্ত হয়নি, ইচ্ছাকৃতভাবে আরিয়ানকে টার্গেট করা হয়েছিল: এনসিবি রিপোর্ট