ETV Bharat / bharat

Atiq Ahmad son Killed: আইনের ছাত্র থেকে কুখ্যাত অপরাধী, 47 দিনে বদলে গিয়েছিল আসাদের জীবন - আতিক আহমেদ

আইনের ছাত্র আসাদ আহমেদ হয়ে উঠলেন আইনভঙ্গকারী ৷ তাও মাত্র 47 দিনের মধ্যে ৷ বাবার অন্ধকার জগৎ থেকে দূরে থাকা আসাদ শেষমেশ রক্ষা পেলেন না কুপ্রভাব থেকে ৷ আর তাই মাত্র 19 বছর বয়সেই প্রাণ খোয়াতে হল তাঁকে ৷

Atiq Ahmad son Killed ETV BHARAT
Atiq Ahmad son Killed
author img

By

Published : Apr 14, 2023, 10:41 AM IST

Updated : Apr 14, 2023, 10:48 AM IST

প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ), 14 এপ্রিল: বয়স মাত্র 19 বছর। তাঁর বয়সের আর পাঁচটা তরুণদের মতোই ছিলেন আসাদ আহমেদ ৷ আইনজীবী হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করার পথে এগোচ্ছিলেন ৷ কিন্তু, ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল ৷ যিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেত চেয়েছিলেন ঘটনাটক্রে তিনিই আইনের রাস্তা ছেড়ে চলে গেলেন অন্ধকারের দুনিয়ায় ৷ উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী হয়ে ওঠেন আসাদ আহমেদ ৷ 5 লক্ষ টাকা ধার্য হয় তাঁর মাথার দাম ৷ বৃহস্পতিবার এই অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। তাঁর জীবনের এই বদল এসেছে মাত্র 47 দিনের মধ্যে ৷

এ বছর 24 ফেব্রুয়ারির আগে পর্যন্ত আসাদ আহমেদের নাম পুলিশের খাতায় ছিল না ৷ কিন্তু, ওই দিনটাই বদলে দিয়েছিল সব হিসেব। প্রয়াগরাজে আইনজীবী উমেশ পাল হত্যাকারী দুষ্কৃতীদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই আসাদ ৷ আসাদের মেজো ভাই আলি আহমেদের নামে 4টি অভিযোগ পুলিশের খাতায় রয়েছে ৷ আর তাঁদের বড় ভাই উমর আহমেদের নামে পুলিশে একটি অভিযোগ আছে ৷ আর আইনজীবী উমেশ পাল হত্যার মাস্টার মাইন্ড আতিক আহমেদের নামে মোট 102টি অভিযোগ আছে । ভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফ আহমেদের নামেও মোট 50টি এফআইআর আছে পুলিশের রেকর্ডে ৷

জানা গিয়েছে, আতিকের ছোট ছেলে আসাদ আহমেদ তাঁদের তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে অলস প্রকৃতির ছিলেন ৷ গতবছর লখনউয়ের সবচেয়ে সম্মানীয় স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন আসাদ ৷ এমনকী বাবার বেআইনি ব্যবসা এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের ছায়া থেকে অনেক দূরেই ছিলেন তিনি ৷ লখনউয়ে থেকেই পড়াশোনা করতেন আসাদ আহমেদ ৷ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, পুরো পরিবারের অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনি পাসপোর্ট করাতে পারেননি। পারিবারিক ইতিহাস যাচাই করে আসাদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ঝাঁসিতে এনকাউন্টার, নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে

তাতেও দমে যাননি আসাদ ৷ আইনজীবী হিসেবে নিজের কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি ৷ তার জন্য পড়াশোনাও শুরু করেন ৷ এমনকী তাঁর বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল ৷ সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, বাবা আতিকের বকাবকির কারণেই নাকি আসাদ আইনজীবী উমেশ পালকে খুনের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৷ আতিকের চাপে পড়েই নাকি এই কাজ করেছিলেন তিনি ৷

এই মুহূর্তে প্রয়াগরাজের জেলে বন্দি রয়েছেন আতিক ৷ সেখানে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছে সে । পরে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, আসাদের মৃত্যুর জন্য তিনি নিজে দায়ী ৷ কিন্তু, ঘটনা হল অপরাধ জগতে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলা আসাদ এখন পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে, অনেক আগেই হার মেনেছেন মৃত্যুর কাছে ৷ আর তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এখন হয় জেলে নয় বেপাত্তা ।

প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ), 14 এপ্রিল: বয়স মাত্র 19 বছর। তাঁর বয়সের আর পাঁচটা তরুণদের মতোই ছিলেন আসাদ আহমেদ ৷ আইনজীবী হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করার পথে এগোচ্ছিলেন ৷ কিন্তু, ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল ৷ যিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেত চেয়েছিলেন ঘটনাটক্রে তিনিই আইনের রাস্তা ছেড়ে চলে গেলেন অন্ধকারের দুনিয়ায় ৷ উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী হয়ে ওঠেন আসাদ আহমেদ ৷ 5 লক্ষ টাকা ধার্য হয় তাঁর মাথার দাম ৷ বৃহস্পতিবার এই অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। তাঁর জীবনের এই বদল এসেছে মাত্র 47 দিনের মধ্যে ৷

এ বছর 24 ফেব্রুয়ারির আগে পর্যন্ত আসাদ আহমেদের নাম পুলিশের খাতায় ছিল না ৷ কিন্তু, ওই দিনটাই বদলে দিয়েছিল সব হিসেব। প্রয়াগরাজে আইনজীবী উমেশ পাল হত্যাকারী দুষ্কৃতীদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই আসাদ ৷ আসাদের মেজো ভাই আলি আহমেদের নামে 4টি অভিযোগ পুলিশের খাতায় রয়েছে ৷ আর তাঁদের বড় ভাই উমর আহমেদের নামে পুলিশে একটি অভিযোগ আছে ৷ আর আইনজীবী উমেশ পাল হত্যার মাস্টার মাইন্ড আতিক আহমেদের নামে মোট 102টি অভিযোগ আছে । ভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফ আহমেদের নামেও মোট 50টি এফআইআর আছে পুলিশের রেকর্ডে ৷

জানা গিয়েছে, আতিকের ছোট ছেলে আসাদ আহমেদ তাঁদের তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে অলস প্রকৃতির ছিলেন ৷ গতবছর লখনউয়ের সবচেয়ে সম্মানীয় স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন আসাদ ৷ এমনকী বাবার বেআইনি ব্যবসা এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের ছায়া থেকে অনেক দূরেই ছিলেন তিনি ৷ লখনউয়ে থেকেই পড়াশোনা করতেন আসাদ আহমেদ ৷ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, পুরো পরিবারের অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনি পাসপোর্ট করাতে পারেননি। পারিবারিক ইতিহাস যাচাই করে আসাদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ঝাঁসিতে এনকাউন্টার, নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে

তাতেও দমে যাননি আসাদ ৷ আইনজীবী হিসেবে নিজের কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি ৷ তার জন্য পড়াশোনাও শুরু করেন ৷ এমনকী তাঁর বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল ৷ সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, বাবা আতিকের বকাবকির কারণেই নাকি আসাদ আইনজীবী উমেশ পালকে খুনের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৷ আতিকের চাপে পড়েই নাকি এই কাজ করেছিলেন তিনি ৷

এই মুহূর্তে প্রয়াগরাজের জেলে বন্দি রয়েছেন আতিক ৷ সেখানে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছে সে । পরে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, আসাদের মৃত্যুর জন্য তিনি নিজে দায়ী ৷ কিন্তু, ঘটনা হল অপরাধ জগতে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলা আসাদ এখন পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে, অনেক আগেই হার মেনেছেন মৃত্যুর কাছে ৷ আর তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এখন হয় জেলে নয় বেপাত্তা ।

Last Updated : Apr 14, 2023, 10:48 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.