বারাণসী, 11 নভেম্বর: কিছুদিন আগেই কাশীতে এসেছিলেন ফরাসি নাগরিক মাইকেল । তিনি কাশীতে মোক্ষলাভ করতে চেয়েছিলেন । মাইকেল তিন দিন আগে মারা গিয়েছেন । তাঁর মৃতদেহ কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারের মর্গে রাখা হয়েছে । শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর 2টোয় মরদেহ হরিশ্চন্দ্র ঘাটে দাহ করা হয় ৷ বারাণসীর কমিশনার কৌশল রাজ শর্মা এই পুরো প্রক্রিয়ার খরচ বহন করেছেন ৷ কাশীতে এটাই প্রথম ঘটনা যখন হিন্দু রীতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ফরাসি নাগরিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হল ।
প্রত্যেক মানুষই কাশীতে মোক্ষলাভ করতে চায় । আধ্যাত্মিক গুরুত্বে বিশ্বাসী লোকেরা তাঁদের জীবনের শেষ অংশ কাশীতে কাটাতে চান । তেমনই একজন ফরাসি নাগরিক মাইকেল । ঘনিষ্ঠদের কাছে মাইকেল জানিয়েছিলেন যে তিনি শুনেছেন কাশীতে মারা গেলে স্বর্গে যাওয়া যায় ৷ তাই তাঁর অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তিনি জীবনের শেষ দিনগুলি কাটাতে কাশীতে আসেন । তার পর কাশীতে থাকার জায়গা পেতে বেশ সমস্যা হয় ৷ তবে বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তাঁর জায়গা হয়নি মুমুক্ষু ভবনে ৷ শেষে একটি গেস্ট হাউজে থাকতে শুরু করেন ৷ কিন্তু মাত্র 20 দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷
জানা গিয়েছে যে তিনি দিনদশেক গেস্ট হাউজে থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ গেস্ট হাউজের ঘরের মধ্যেই কয়েকদিন পড়ে ছিলেন ৷ এর পর তাঁকে কবিরচৌড়া বিভাগীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ প্রায় 10 দিন হাসপাতালে ভর্তি মাইকেল অচেতন হয়ে পড়েছিলেন ৷ বিষয়টি এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আসে ৷ তার পর তাঁকে ঘাটে অবস্থিত আপন ঘর আশ্রমে এনে চিকিৎসা করানো হয় ৷ তার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ শেষে দিনতিনেক আগে তাঁর মৃত্যু হয় ৷
শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর 2টায় তাঁর মরদেহ হরিশ্চন্দ্র ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে । যেখানে তাঁর দেহ দাহ করা হয় ৷ এই সময় জেলা প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন । জেলা প্রশাসন বলছে, সম্পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে মাইকেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় । শেষকৃত্যের সময় মাইকেলের সঙ্গী অ্যামিও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: