কানপুর, 7 জানুয়ারি: বৃদ্ধকে খুন করে কার্ডবোর্ডে ভরে ড্রেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ৷ মা-ছেলে ড্রেনে নেমে উদ্ধার করলেন সেই মৃতদেহ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে 21 ডিসেম্বর কানপুরের বাররা এলাকায় ৷ ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে 16 দিন পর আটক করেছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, বাররা থানার বরুণ বিহারের বাসিন্দা সুনীল জয়সওয়াল (60) ৷ তিনি বারার ভাসিন টেন্ট হাউসে কাজ করতেন । সুনীলের বড় ছেলে গৌতম জয়সওয়াল জানান, প্রতিদিনের মতো গত 21 ডিসেম্বরও তাঁর বাবা টেন্ট হাউসের কাজে গিয়েছিলেন । এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । তাঁর জায়গায় সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন টেন্ট হাউসের মালিক সুনীল ভাসিন । তিনি এসে জানান, ড্রেনের পাশে সুনীলের চপ্পল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে । তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ এরপরেই মা পুষ্প জয়সওয়ালকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন গৌতম । তিনি গুজাইনি থানা ও বাররা থানায় বিষয়টিও জানান ।
গৌতম বলেন, "কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলেও তদন্ত না-করেই ফিরে যায় । পুলিশ চলে যাওয়ার পর মা ড্রেনে নেমে পড়ে বাবাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ৷ তাও বাবাকে পাওয়া যায়নি । এরপর আমি ড্রেনে নেমে পড়ি । তারপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাবার দেহ উদ্ধার হয় । তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকরা বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।" সূত্রের খবর, সুনীল জয়সওয়ালের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । রিপোর্টে শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং জলে ডুবে মৃত্যুর কথা জানা হয়েছে । রিপোর্ট নিয়ে গৌতম বাররা থানার এসিপি, এডিসিপি ও ডিসিপির অফিসে যান ৷ কিন্তু পুলিশ তাঁর কথায় কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ । ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ ।
গৌতম জানিয়েছেন, এই ঘটনার বেশ কিছু দিন কেটে যাওয়ার পরে তিনি আবার বাররা থানায় যান । তিনি হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে বলেন পুলিশ আধিকারিকদের । এরপরেই ঘটনাস্থলের আশেপাশে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বাররা থানার পুলিশ । ফুটেজে গৌতম দেখেন কিছু লোক তাঁর বাবাকে কার্ডবোর্ডের বাক্সে ভরে ড্রেনে ফেলে দিচ্ছে । এ বিষয়ে এসিপি নওবস্তা আশুতোষ কুমার বলেন, "শনিবার সুনীল জয়সওয়ালের ছেলে গৌতম বাররা থানায় অভিযোগ করেন । সিসিটিভি খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজন পাঁচ-ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । আমরা ঘটনার তদন্ত করছি ৷"
আরও পড়ুন: