নয়াদিল্লি, 4 অক্টোবর: বুধবার সাত সকালে দিল্লিতে রাজ্যসভার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে ইডির হানা ৷ দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় সঙ্গে সাংসদ যুক্ত আছেন এমনটা সন্দেহ করেই এদিন সাংসদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির তদন্তকারীরা ৷ সূত্রের খবর, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অন্য ব্যক্তিদের বাড়িতেও অভিযান চালাতে পারে ইডি। এই মামলায় এর আগে সঞ্জয় সিংয়ের কয়েকজন দলীয় সতীর্থ এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
অভিযোগ, মদ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য 2021-22 সালে দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কার্টেলাইজেশনের অনুমতি দিয়েছিল। এর ফলে সে সময় কিছু ডিলার বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন ৷ এর বদলে তাঁদের থেকে ঘুষও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ তবে আপের তরফে সম্পূর্ণভাবে এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়। পরবর্তীকালে নীতিটি বাতিল করা হয়। ঘটনায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন ৷ এর পরে ইডি পিএমএলএ-এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করে ।
এই বছরের মে মাসের শুরুতে সাংসদ সঞ্জয় সিং অর্থসচিব টিভি সোমানাথনের কাছে একটি চিঠি দেন ৷ তাতে তিনি বলেছিলেন, "ইডি ডিরেক্টর এবং অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তাঁর নাম এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত করেছেন ৷ এতে জনসাধারণের সামনে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁর মানহানিও হয়েছে।" সঞ্জয় সিং উল্লেখ করেছেন যে দীনেশ অরোরার বক্তব্যের ভিত্তিতে তাঁর নাম এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছিল ।
আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতি মামলায় মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ সিবিআই'য়ের
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনসাধারণের সামনে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন ৷ তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিকদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য একটি আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ নেতার নাম ইডি চার্জশিটে মোট চারবার এসেছে ৷ একটি রেফারেন্স ভুল ছিল এবং অসাবধানতাবশত তাঁর নাম লেখা হয়ে গিয়েছিল। এক জায়গায় রাহুল সিংয়ের পরিবর্তে সঞ্জয় সিংয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। রাহুল তখন আবগারি কমিশনার ছিলেন ।