ভুবনেশ্বর, 4 জুন: কারও হাতকাটা, তো কোনওটির মুখ পুড়ে গিয়েছে বা থেঁতলে গিয়েছে ৷ ওড়িশা রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ এখন শনাক্ত করাই সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, নিহতের পরিজনরা তাঁদের প্রিয়জনকে মরিয়া হয়ে খুঁজছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বাহানগা হাইস্কুলে অস্থায়ী মর্গ বানানো হয়েছে। সেখান থেকেই শবদেহগুলি পরিজনরা চিনে নিতে চাইছেন ৷
ওড়িশা সরকার রবিবার জানিয়েছে বালাসোরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে মর্মান্তিক তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা 275 ৷ কারণ কিছু মৃতদেহ 'দু'বার করে গণনা' করা হয়েছে ৷ নিহত 275 জনের মধ্যে 187 জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ কুমার জেনা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে কিছু মৃতদেহ দু'বার গণনা করা হয়েছে। তাই, সঠিক গণনা করার পরে, মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 275।
275টি মৃতদেহের মধ্যে 78টি শনাক্ত করা হয়েছে ৷ এই দেহগুলির ময়নাতদন্তের পর তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৷ এছাড়াও তিনি আরও জানান, আরও 10টি দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুখ্যসচিব আরও বলেন, "187টি মৃতদেহের মধ্যে 170টি দেহ ভুবনেশ্বরে আনা হয়েছে এবং অন্য 17টি মৃতদেহ বালাসোর থেকে ভুবনেশ্বরে আনা হয়েছে। 85টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মরদেহগুলিকে ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে করে দু'টি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷"
মৃতদেহ শনাক্ত করা সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ এমনটা উল্লেখ করে মুখ্যসচিব বলেন, "আমরা ওয়েবসাইটে মৃতদেহের ছবি আপলোড করেছি। কেউ যদি তাঁদের পরিবারের সদস্যের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেন, তাহলে তিনি হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন ৷ হেল্পলাইন নম্বর হচ্ছে- 18003450061 ৷"
মৃতদেহের ছবিগুলি যে ওয়েবসাইটগুলিতে আপলোড করা হয়েছে- srcodisha.nic.in., www.bmc.gov.in. এবং www.osdma.org৷ এই ওয়েবসাইটে আহতদের তালিকাও আপলোড করা হয়েছে।
প্রায় 1 হাজার 175 জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন, যাদের মধ্যে 793 জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদের অধিকাংশের অবস্থা স্থিতিশীল। মোট 382 জন যাত্রী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তভার যাচ্ছে সিবিআইয়ের হাতে ! ঘোষণা রেলমন্ত্রীর