ETV Bharat / bharat

হেনস্থার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন হিরেন - অ্য়ান্টিলিয়া

মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছেই উদ্ধার হয়েছিল বিস্ফোরকবোঝাই একটি গাড়ি ৷ পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনায় নাম জড়ায় হিরেন মনসুখ নামে এক ব্য়বসায়ীর ৷ অভিযোগ ওঠে, হিরেনই বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িটির মালিক ৷ যদিও এখন জানা যাচ্ছে, গাড়ির মালিক অন্য ব্য়ক্তি ৷ হিরেন শুধুমাত্র সেটির অন্দরসজ্জার কাজ করেছিলেন ৷ মৃত্য়ুর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন হিরেন ৷ পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে চিঠিতে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তিনি ৷

Days Before Death, Man Linked To SUV Near Ambani Home Wrote Was Harassed
মৃত্য়ুর আগেই চিঠি লিখে হেনস্থার অভিযোগ হিরেনের
author img

By

Published : Mar 6, 2021, 7:05 PM IST

মুম্বই, 6 মার্চ: হিরেন মনসুখ মৃত্য়ুরহস্যে নয়া মোড় ৷ মৃত্য়ুর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুম্বই পুলিশের প্রধানকে লেখা চিঠিতে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি ৷ হিরেনের দাবি ছিল, তাঁকে লাগাতার হেনস্থা করছে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম ৷ এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ ঘটনার তদন্তভারত হাতে নিয়েছে এটিএস (সন্ত্রাসদমন শাখা) ৷ শনিবার একথা জানান, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ৷

উল্লেখ্য়, দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় একটি গাড়ি ৷ পরে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক ৷ ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-উল-হিন্দ নামে একটি অনামী জঙ্গি সংগঠন ৷

ঘটনার তদন্ত এগোতে জানা যায়, বিস্ফোরকবোঝাই ওই গাড়ির মালিক 45 বছরের হিরেন মনসুখ ৷ গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলারশিপ রয়েছে তাঁর ৷ ঘটনাপ্রবাহ বদলে যায় গত শুক্রবার ৷ থানের রেতি ভাণ্ডার এলাকা থেকে হিরেনের দেহ উদ্ধার করে নওপাড়া থানার পুলিশ ৷ পরিবারের দাবি ছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হিরেন ৷

আর এখন জানা যাচ্ছে, মৃত্য়ুর আগেই রাজ্য় প্রশাসনের শীর্ষ ব্য়ক্তিকে চিঠি লিখে তাঁর দুর্দশার কথা জানিয়েছিলেন হিরেন ৷ চেয়েছিলেন পুলিশের নিরাপত্তা ৷ শনিবার এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ির আসল মালিক হিরেন নন ৷ তিনি শুধুমাত্র গাড়ির ভিতরের সাজসজ্জা পরিবর্তন করেছিলেন ৷ কারণ, গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলারশিপ ছিল হিরেনের ৷ আদতে গাড়ির মালিক স্য়াম মুতেব নামে এক ব্যক্তি ৷ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কাজের পারিশ্রমিক না পেয়ে গাড়িটি নিজের কাছে রেখে দেন হিরেন ৷ পরে সেই গাড়িটিই চুরি হয়ে যায় ৷ পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন হিরেন ৷

এদিকে, গত শুক্রবার হিরেনের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর মৃত্য়ুর কারণ খুঁজতে ব্য়স্ত পুলিশ ৷ তাদের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে ৷ যেখানে হিরেনকে তাঁর বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যাচ্ছে ৷ এই ফুটেজটি গত বৃহস্পতিবারের ৷

গত 2 মার্চ মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশকর্তাকে লেখা চিঠিতে হিরেন বিস্তারিতভাবে গাড়ি চুরির ঘটনাটি জানান ৷ জানান, কীভাবে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম তাঁকে হেনস্থা করে চলেছে ৷

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিকের দেহ উদ্ধার

এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির রং ৷ হিরেনের দেহ উদ্ধারের পরই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি ৷

উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতের পর দক্ষিণ মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির 27 তলা বাড়ি অ্য়ান্টিলিয়ার অদূরেই একটি গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ৷ পরে বম্ব স্কোয়াড গাড়িটির ভিতর থেকে 20টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে ৷ উদ্ধার হয় মুকেশ আম্বানি ও তাঁর স্ত্রী নিতা আম্বানিকে উদ্দেশ্য করে হাতে লেখা একটি চিঠিও ৷

পরে সিসিটিভি ফুটেজে সামনে আসে এক সন্দেহভাজনের ছবি ৷ যে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িটি অ্য়ান্টিলিয়ার কাছে এনে দাঁড় করিয়েছিল ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি ৷

মুম্বই, 6 মার্চ: হিরেন মনসুখ মৃত্য়ুরহস্যে নয়া মোড় ৷ মৃত্য়ুর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুম্বই পুলিশের প্রধানকে লেখা চিঠিতে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি ৷ হিরেনের দাবি ছিল, তাঁকে লাগাতার হেনস্থা করছে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম ৷ এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ ঘটনার তদন্তভারত হাতে নিয়েছে এটিএস (সন্ত্রাসদমন শাখা) ৷ শনিবার একথা জানান, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ৷

উল্লেখ্য়, দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় একটি গাড়ি ৷ পরে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক ৷ ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-উল-হিন্দ নামে একটি অনামী জঙ্গি সংগঠন ৷

ঘটনার তদন্ত এগোতে জানা যায়, বিস্ফোরকবোঝাই ওই গাড়ির মালিক 45 বছরের হিরেন মনসুখ ৷ গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলারশিপ রয়েছে তাঁর ৷ ঘটনাপ্রবাহ বদলে যায় গত শুক্রবার ৷ থানের রেতি ভাণ্ডার এলাকা থেকে হিরেনের দেহ উদ্ধার করে নওপাড়া থানার পুলিশ ৷ পরিবারের দাবি ছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হিরেন ৷

আর এখন জানা যাচ্ছে, মৃত্য়ুর আগেই রাজ্য় প্রশাসনের শীর্ষ ব্য়ক্তিকে চিঠি লিখে তাঁর দুর্দশার কথা জানিয়েছিলেন হিরেন ৷ চেয়েছিলেন পুলিশের নিরাপত্তা ৷ শনিবার এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ির আসল মালিক হিরেন নন ৷ তিনি শুধুমাত্র গাড়ির ভিতরের সাজসজ্জা পরিবর্তন করেছিলেন ৷ কারণ, গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলারশিপ ছিল হিরেনের ৷ আদতে গাড়ির মালিক স্য়াম মুতেব নামে এক ব্যক্তি ৷ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কাজের পারিশ্রমিক না পেয়ে গাড়িটি নিজের কাছে রেখে দেন হিরেন ৷ পরে সেই গাড়িটিই চুরি হয়ে যায় ৷ পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন হিরেন ৷

এদিকে, গত শুক্রবার হিরেনের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর মৃত্য়ুর কারণ খুঁজতে ব্য়স্ত পুলিশ ৷ তাদের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে ৷ যেখানে হিরেনকে তাঁর বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যাচ্ছে ৷ এই ফুটেজটি গত বৃহস্পতিবারের ৷

গত 2 মার্চ মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশকর্তাকে লেখা চিঠিতে হিরেন বিস্তারিতভাবে গাড়ি চুরির ঘটনাটি জানান ৷ জানান, কীভাবে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম তাঁকে হেনস্থা করে চলেছে ৷

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিকের দেহ উদ্ধার

এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির রং ৷ হিরেনের দেহ উদ্ধারের পরই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি ৷

উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতের পর দক্ষিণ মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির 27 তলা বাড়ি অ্য়ান্টিলিয়ার অদূরেই একটি গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ৷ পরে বম্ব স্কোয়াড গাড়িটির ভিতর থেকে 20টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে ৷ উদ্ধার হয় মুকেশ আম্বানি ও তাঁর স্ত্রী নিতা আম্বানিকে উদ্দেশ্য করে হাতে লেখা একটি চিঠিও ৷

পরে সিসিটিভি ফুটেজে সামনে আসে এক সন্দেহভাজনের ছবি ৷ যে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িটি অ্য়ান্টিলিয়ার কাছে এনে দাঁড় করিয়েছিল ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.