ETV Bharat / bharat

কোরোনা অতিমারিতে নির্বাচন এবং সেই সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ - কোরোনার মাঝে নির্বাচন

এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রতি ভোটারের সংখ্যা সর্বোচ্চ এক হাজারের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে বুথের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই ।

corona election
corona election
author img

By

Published : Jan 29, 2021, 9:01 AM IST

Updated : Jan 29, 2021, 9:46 AM IST

দিল্লি: কোরোনা সংক্রমণের মাঝে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইটিভি ভারতের রিজিওনাল নিউজ কো-অর্ডিনেটর সচিন শর্মার সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত ।

ওপি রাওয়াত বলেন, কোরোনা আবহে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একাধিক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে । এই নির্দেশিকার মধ্যে মনোনয়নপত্র পূরণ থেকে প্রচার এবং ভোট গ্রহণের বিভিন্ন খুঁটিনাটির বিষয়ে বিশদ নির্দেশ রয়েছে ।

এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র প্রতি ভোটারের সংখ্যা সর্বোচ্চ এক হাজারের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে বুথের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই । বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কোরোনা বিধি মানার বিষয়ে যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখিয়েছিল । একই পদ্ধতিতে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাডু, অসম এবং পুদুচেরিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন ।

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের বিভিন্ন আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় প্রসঙ্গে ওপি রাওয়াত জানান, সংবিধানের 324 নম্বর ধারা অনুযায়ী ভারতের নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয় । সেই তুলনায় অনেক পরে সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৈরি হয় । দুই সংস্থারই ভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে এবং দুই সংস্থা কখনও একে অপরের পথে এসে দাঁড়ায় না ।

একান্ত সাক্ষাৎকারে ওপি রাওয়াত

রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক কাজকর্মের পুরোটাই মুখ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে । রাজ্যগুলিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্বও তাদেরই । প্রতি জেলায় রয়েছেন এক জন করে জেলা নির্বাচন কর্তা । তাঁর অধীনে কাজ করেন এসডিএম-রা । পুরো ব্যাপারটার দায়িত্বে থাকেন সরকারি কর্তারা । নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ করা শুরু করেন ।

আরও পড়ুন : এফ15ইএক্স যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বোয়িংকে ছাড় অ্য়ামেরিকার

নির্বাচনের গুণগত সংস্কার এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওপি রাওয়াত জানান, সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক এবং বিদেশে থাকা ভারতীয় (এনআরআই)-দের জন্যই ব্যালটের ব্যবস্থা করার । প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি ।

প্রত্যেক প্রার্থীর নিজেদের অপরাধ সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে পেশ করা প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিহারে এই নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে এবং অবশ্যই এই নিয়ম প্রথমবারের জন্য করা হল না । এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট অনেক দিন আগেই একটি রায় দিয়েছে । নির্বাচনে অপরাধ নিঃশেষ করার বিষয়টি মাথায় রেখে আদালত এই রায় দিয়েছিল ।

ইটিভি ভারতের রিজিওনাল নিউজ কোঅর্ডিনেটর শচীন শর্মাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাওয়াত বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপনির্বাচন কমিশনরের নিজেই ভোটযন্ত্র বা ইভিএম-এর উপর নজর রাখা । কারণ, তাঁদের শুধুমাত্র আদালতের কাছেই রিপোর্ট জমা দিতে হয় । এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ওই ব্যক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করে । সেই অনুযায়ী ভারত সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে । তবে নির্বাচন কমিশনে যে সব অফিসার আসেন, তাঁরা সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্যই আসেন । তাঁদের নির্বাচন করা হয় তাঁদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা যাচাই করেই ।’’

আরও পড়ুন : আয়ের উৎস খুঁজে ব্যয়ের দিশা কি দেখাতে পারবে নির্মলার বাজেট ?

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বর্তমান উপ মুখ্যনির্বাচন কমিশনার উত্তরপ্রদেশের আইএএস ক্যাডার উমেশ সিনহার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ওপি রাওয়াত বলেন, ‘‘তিনি আমার সময়ে সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার হিসাব কাজ করতেন । তিনি সব ধরনের পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক কাজের দায়িত্বে ছিলেন । তাঁদের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার অর্থই হয় না । কোরোনার ফলে এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একাধিক পরিবর্তন আনতে হয়েছে । একটা বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আর তা হল, নির্বাচনের ফলে কোরোনা আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়েনি । এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন তাঁর এক বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে ।’’

2020 সালে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ দেন । এই প্রসঙ্গে ওপি রাওয়াত বলেন, ‘‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ওই পদ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এর জন্য অবশ্যই আগে থেকে আবেদন করতে হয়েছিল । আবেদনপত্র নিরীক্ষণের পরেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে চাকরিতে নেওয়া হয় । এর জন্য ইন্টারভিউ, পারসোনালিটি টেস্ট এবং গ্রুপ ডিসকাশনের মতো পর্যায় টপকাতে হয় ।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে রাওয়াত দায়িত্ব সহকারে বলেন যে, এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে ইভিএম, ভিভিপ্যাট এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার চেষ্টা করেন ।

আরও পড়ুন : ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও হোয়াটসঅ্যাপে প্রাইভেসি পলিসির পক্ষে সওয়াল জুকেরবার্গের

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও দাবি করেন, বিভিন্ন রাজনৈতক দল বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি করেন । এই সব দাবি তারা মূলত করেন ভোট বৃদ্ধি করার জন্য এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু সন্দেহ মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিতে । যখন নির্বাচন কমিশন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং তদন্তের পর জানায় যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা নেই, তখনই রাজনৈতিক দলগুলি ফলাফল মেনে নেয় ।

কে ওপি রাওয়াত?

1977 সালে আইএএস পরীক্ষায় পাস করে ওপি রাওয়াত কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্পমন্ত্রকের সচিব হন 2013 সালে । 2015 সালের অগাস্টে তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে যোগ দেন । 2018 সালের জানুয়ারিতে তিনি 22 তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন । বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সরকারি বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু নির্ধরাণ সংক্রান্ত কমিটি (সিসিআরজিএ)-র চেয়ারম্যান । সরকারি প্রশাসনে অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি 2008-2009 সালে প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পান ।

দিল্লি: কোরোনা সংক্রমণের মাঝে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইটিভি ভারতের রিজিওনাল নিউজ কো-অর্ডিনেটর সচিন শর্মার সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত ।

ওপি রাওয়াত বলেন, কোরোনা আবহে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একাধিক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে । এই নির্দেশিকার মধ্যে মনোনয়নপত্র পূরণ থেকে প্রচার এবং ভোট গ্রহণের বিভিন্ন খুঁটিনাটির বিষয়ে বিশদ নির্দেশ রয়েছে ।

এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র প্রতি ভোটারের সংখ্যা সর্বোচ্চ এক হাজারের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে বুথের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই । বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কোরোনা বিধি মানার বিষয়ে যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখিয়েছিল । একই পদ্ধতিতে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাডু, অসম এবং পুদুচেরিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন ।

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের বিভিন্ন আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় প্রসঙ্গে ওপি রাওয়াত জানান, সংবিধানের 324 নম্বর ধারা অনুযায়ী ভারতের নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয় । সেই তুলনায় অনেক পরে সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৈরি হয় । দুই সংস্থারই ভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে এবং দুই সংস্থা কখনও একে অপরের পথে এসে দাঁড়ায় না ।

একান্ত সাক্ষাৎকারে ওপি রাওয়াত

রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক কাজকর্মের পুরোটাই মুখ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে । রাজ্যগুলিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্বও তাদেরই । প্রতি জেলায় রয়েছেন এক জন করে জেলা নির্বাচন কর্তা । তাঁর অধীনে কাজ করেন এসডিএম-রা । পুরো ব্যাপারটার দায়িত্বে থাকেন সরকারি কর্তারা । নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ করা শুরু করেন ।

আরও পড়ুন : এফ15ইএক্স যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বোয়িংকে ছাড় অ্য়ামেরিকার

নির্বাচনের গুণগত সংস্কার এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওপি রাওয়াত জানান, সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক এবং বিদেশে থাকা ভারতীয় (এনআরআই)-দের জন্যই ব্যালটের ব্যবস্থা করার । প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি ।

প্রত্যেক প্রার্থীর নিজেদের অপরাধ সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে পেশ করা প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিহারে এই নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে এবং অবশ্যই এই নিয়ম প্রথমবারের জন্য করা হল না । এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট অনেক দিন আগেই একটি রায় দিয়েছে । নির্বাচনে অপরাধ নিঃশেষ করার বিষয়টি মাথায় রেখে আদালত এই রায় দিয়েছিল ।

ইটিভি ভারতের রিজিওনাল নিউজ কোঅর্ডিনেটর শচীন শর্মাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাওয়াত বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপনির্বাচন কমিশনরের নিজেই ভোটযন্ত্র বা ইভিএম-এর উপর নজর রাখা । কারণ, তাঁদের শুধুমাত্র আদালতের কাছেই রিপোর্ট জমা দিতে হয় । এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ওই ব্যক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করে । সেই অনুযায়ী ভারত সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে । তবে নির্বাচন কমিশনে যে সব অফিসার আসেন, তাঁরা সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্যই আসেন । তাঁদের নির্বাচন করা হয় তাঁদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা যাচাই করেই ।’’

আরও পড়ুন : আয়ের উৎস খুঁজে ব্যয়ের দিশা কি দেখাতে পারবে নির্মলার বাজেট ?

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বর্তমান উপ মুখ্যনির্বাচন কমিশনার উত্তরপ্রদেশের আইএএস ক্যাডার উমেশ সিনহার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ওপি রাওয়াত বলেন, ‘‘তিনি আমার সময়ে সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার হিসাব কাজ করতেন । তিনি সব ধরনের পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক কাজের দায়িত্বে ছিলেন । তাঁদের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার অর্থই হয় না । কোরোনার ফলে এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একাধিক পরিবর্তন আনতে হয়েছে । একটা বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আর তা হল, নির্বাচনের ফলে কোরোনা আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়েনি । এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন তাঁর এক বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে ।’’

2020 সালে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ দেন । এই প্রসঙ্গে ওপি রাওয়াত বলেন, ‘‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ওই পদ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এর জন্য অবশ্যই আগে থেকে আবেদন করতে হয়েছিল । আবেদনপত্র নিরীক্ষণের পরেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে চাকরিতে নেওয়া হয় । এর জন্য ইন্টারভিউ, পারসোনালিটি টেস্ট এবং গ্রুপ ডিসকাশনের মতো পর্যায় টপকাতে হয় ।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে রাওয়াত দায়িত্ব সহকারে বলেন যে, এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে ইভিএম, ভিভিপ্যাট এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার চেষ্টা করেন ।

আরও পড়ুন : ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও হোয়াটসঅ্যাপে প্রাইভেসি পলিসির পক্ষে সওয়াল জুকেরবার্গের

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও দাবি করেন, বিভিন্ন রাজনৈতক দল বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি করেন । এই সব দাবি তারা মূলত করেন ভোট বৃদ্ধি করার জন্য এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু সন্দেহ মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিতে । যখন নির্বাচন কমিশন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং তদন্তের পর জানায় যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা নেই, তখনই রাজনৈতিক দলগুলি ফলাফল মেনে নেয় ।

কে ওপি রাওয়াত?

1977 সালে আইএএস পরীক্ষায় পাস করে ওপি রাওয়াত কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্পমন্ত্রকের সচিব হন 2013 সালে । 2015 সালের অগাস্টে তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে যোগ দেন । 2018 সালের জানুয়ারিতে তিনি 22 তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন । বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সরকারি বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু নির্ধরাণ সংক্রান্ত কমিটি (সিসিআরজিএ)-র চেয়ারম্যান । সরকারি প্রশাসনে অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি 2008-2009 সালে প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পান ।

Last Updated : Jan 29, 2021, 9:46 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.