লখনউ, 15 জানুয়ারি: 2024 লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজ পার্টি ৷ সোমবার এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী ৷ তিনি জানিয়েছেন, ভোটের পরে জোটের কথা ভাববে তাঁর দল ৷
সোমবার 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাঁর দলের অবস্থান পুনরায় জানালেন মায়াবতী ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে বিএসপি প্রধান বলেন যে, তাঁর দল নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে জোটের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে ।
তাঁর কথায়, "জোট নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা কখনওই আমাদের জন্য উপকারী হয়নি এবং জোট থেকে আমরা বেশি ক্ষতিরই সম্মুখীন হই । এই কারণে, বেশিরভাগ দেশের দলগুলি বিএসপির সঙ্গে জোট করতে চায় । নির্বাচনের পর জোট করার কথা ভাবা যেতে পারে । সম্ভব হলে নির্বাচনের পর বিএসপি তাদের সমর্থন দিতে পারে...৷ আমাদের দল একাই নির্বাচনে লড়বে ৷"
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকেও আক্রমণ করে বলেন, উভয় সরকারই ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বারা শাসিত এবং শাসকদল মানুষকে কিছু বিনামূল্যের রেশন দিয়ে তাঁদের দারিদ্র্য থেকে উন্নীত করার পরিবর্তে 'দাস' করার চেষ্টা করছে । তাঁর কথায়, "মানুষকে দারিদ্র্য থেকে উন্নীত করার এবং তাঁদের কর্মসংস্থান প্রদানের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য (উত্তরপ্রদেশ) সরকার তাঁদের কিছু বিনামূল্যের রেশন প্রদান করছে এবং তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে । ইউপিতে আমাদের সরকার তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য লোকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিল ৷"
তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে পারেন বলে যে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, তাও এ দিন খারিজ করে দিয়েছেন মায়াবতী ৷ বরং তিনি বলেন যে, তিনি তাঁর দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন । মায়াবতীর কথায়, "গত মাসে আমি আকাশ আনন্দকে আমার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে ঘোষণা করেছিলাম, যার পরে মিডিয়াতে অনুমান করা হচ্ছিল যে আমি শীঘ্রই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে পারি । আমি স্পষ্ট করতে চাই যে সেটা নয়, এবং আমি দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাব ৷"
2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিএসপি প্রধান দলের নেতা ও কর্মীদের বিএসপিকে সাহায্য করার জন্য পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন । বিএসপি একটি তফসিলি জাতি-কেন্দ্রিক দল ৷ 1990 এবং 2000 এর দশকে উত্তরপ্রদেশে এটি একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল ৷ কিন্তু গত এক দশকে এর ক্ষমতা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে ৷ 2022 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই দল মাত্র 12.8 শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা প্রায় তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন । (সংবাদসংস্থা এএনআই)
আরও পড়ুন: