গুরুগ্রাম ও চণ্ডীগড়, 13 জানুয়ারি: খুনের 11 দিন পর হরিয়ানার ফতেহাবাদের তোহানা খালে পাওয়া গেল মডেল দিব্যা পাহুজার দেহ । দিব্যার দেহ হেফাজতে নিয়েছে গুরুগ্রাম পুলিশ । মৃতদেহ খালে ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত বলরাজ । তার ভিত্তিতে পুলিশ দেহ উদ্ধারে তল্লাশি চালায় । এরপর ফতেহাবাদের তোহানা খাল থেকে মডেল দিব্যা পাহুজার দেহ পাওয়া যায় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনডিআরএফের 25 জন সদস্য দিব্যাকে খুঁজতে পাতিয়ালায় পৌঁছেছিলেন । এছাড়াও গুরুগ্রাম ও পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে এনডিআরএফের দল খালে দিব্যার দেহের সন্ধান করছিল ৷ ক্রাইম ব্রাঞ্চের ছ’টি দলও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ৷ শনিবার সকালে হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলার তোহানা খাল থেকে দিব্যার দেহ উদ্ধার করা হয় । খাল থেকে দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ দিব্যার পরিবারের কাছে তাঁর ছবি পাঠায় । যা দেখে তারা দেহ সনাক্ত করে ।
উল্লেখ্য, গত 2 জানুয়ারি দিব্যা পাহুজাকে গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ । তাঁকে গুলি করে খুন করায় অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট হোটেলের মালিক অভিজিৎ সিং । প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে যে এই খুনের দেহ লোপাট করার দায়িত্ব বলরাজ গিলকে দিয়েছিলেন অভিজিৎ ৷ তাই দেহর হদিশ পেতে পুলিশ বলরাজের সন্ধান শুরু করে ৷
সেই সন্ধান প্রক্রিয়ায় পুলিশ জানতে পারে বলরাজ দেশ ছেড়ে ব্যাংককে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ৷ কলকাতা থেকে তাঁরা ব্যাংকক চলে যাবে ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি বলরাজের ৷ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বলরাজ ও তাঁর সহযোগী রবি বঙ্গাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
বলরাজকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, বলরাজ অভিজিতের বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে দিব্যার দেহ লোপাট করার জন্য বের হন৷ তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রবি বঙ্গা । তবে দিব্যার দেহ গাড়িতে রেখেছিলেন অভিজিৎ সিং ও তাঁর হোটেলের দুই কর্মী ৷ এর পর অভিজিৎ বলরাজকে দেহ লোপাটের দায়িত্ব দেন ৷ এই কাজের জন্য বলরাজকে 10 লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন অভিজিৎ ।
কিন্তু কী কারণে খুন হতে হল দিব্যাকে ? পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ সিংয়ের কিছু আপত্তিকর ছবি দিব্যার কাছে ছিল ৷ সেই ছবি দেখিয়ে অভিজিৎয়ের কাছ থেকে টাকা চাইছিলেন দিব্যা ৷ এই নিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন ৷ সেই ঝামেলার জেরেই দিব্যাকে গুলি করে খুন করেন অভিজিৎ ৷
আরও পড়ুন: