দিল্লি, 5 জুন : কোরোনা সংক্রমণের কারণে এই বছর জমায়েত এড়িয়ে ডিজিটাল মাধ্যমেই পালিত হবে বিশ্ব যোগ দিবস।
এই বছরের থিম " বাড়িতে যোগ, পরিবারের সঙ্গে যোগ। " 21 জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালিত হবে ভার্চুয়ালি, দেশবাসী সকাল সাতটা থেকে যোগ দিতে পারবেন এই অনুষ্ঠানে।
আজ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, "বিদেশে ভারতের লক্ষ্য হল, ডিজিটাল মিডিয়া এবং যোগব্যায়ামকে সমর্থনকারী সংস্থাগুলির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানো।"
আয়ুষ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই বছর লেহতে যোগ দিবস অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা ছিল, তবে কোরোনা সংক্রমণের কারণে তা বাতিল করে দেওয়া হয়।
31 মে প্রধানমন্ত্রী " মাই লাইফ, মাই যোগা" নামে ভিডিয়ো ব্লগিং প্রতিযোগিতার ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পাশাপাশি আয়ুষ মন্ত্রক ও ICCR মানুষের মধ্যে যোগা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে বিশ্ব যোগ দিবসে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্দীপিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এই ভিডিও ব্লগিং প্রতিযোগিতা দেশ ও বিশ্বজুড়ে হবে। দেশের মধ্যে সেরা তিনজনকে বেছে নেওয়া হবে এবং আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। অন্যদিকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের মধ্যে সেরা তিনজনকে বেছে নেওয়া হবে এবং পুরস্কৃত করা হবে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের একটি তিন মিনিটের ভিডিয়ো আপলোড করতে হবে, যেখানে তারা আসন, প্রাণায়াম ও বিভিন্ন মুদ্রা করে দেখাবে। পাশাপাশি যোগাসন তাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে সেই বিষয়েও বলতে হবে। এই ভিডিয়োগুলি ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে #MyLifeMyYogaINDIA দিয়ে আপলোড করতে হবে।
আয়ুষ মন্ত্রকের সেক্রেটারি বৈদ্য রাজেশ কোটেচা জানান, " প্রতিযোগীরা যেকোনও ভাষায় নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগ রয়েছে। যুব (18 বছরের কম পুরুষ ও মহিলা), প্রাপ্তবয়স্ক (18 ঊর্ধ্ব পুরুষ ও মহিলা) এবং যোগা প্রশিক্ষক। ভারতীয় প্রতিযোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম পুরস্কার এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার 50 হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার 25 হাজার টাকা দেওয়া হবে। বিশ্বের ক্ষেত্রে প্রথম স্থানাধিকারীকে 2500 মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে যথাক্রমে 1500 ও 1000 মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি একটি ট্রফি ও সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে । "
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ বিনয় সহস্রবুদ্ধ বলেন, " এই ভিডিয়ো ব্লগিং প্রতিযোগিতায় বহু মানুষ অংশগ্রহণ করবে, যার ফলে যোগাসন ও তার উপকারিতা সম্পর্কে বিশ্বের সকলে জানতে পারবে। যোগাসন কেবল একটি শারীরিক কসরত নয়, এর প্রভাব শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে পড়ে। যোগাসনের উপকারিতা মানুষ এই ভিডিয়োর মাধ্যমে সকলের সঙ্গে করে নিতে পারবেন। "
আয়ুষ মন্ত্রকের সেক্রেটারি কোটেচা জানান, ইতিমধ্যে দুই লাখের বেশি মানুষ সঞ্জীবনী মোবাইল অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। 7 মে তে মুক্তিপ্রাপ্ত এই অ্যাপটি কোভিড 19 প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের আয়ুষ টোটকা ও তার ব্যবহার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে।