জেনেভা, 16 সেপ্টেম্বর : সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হল পাকিস্তান ৷ আর যে ইসলামাবাদ ধারাবাহিকভাবে হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে, তাদের কেউ মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার যোগ্য নয় ৷ নিজেদের উদ্দেশ্যসাধনের জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভারতকে বদনাম করা পাকিস্তানের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের 45 তম অধিবেশনে এইভাবেই পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত ৷
পাকিস্তানের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় প্রতিনিধি। সেখানে তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়ে দেন, এটা মোটেও বিস্ময়কর নয় যে পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে এবং সন্ত্রাসে অর্থ-জোগান বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় কূটনৈতিক বলেন , "যে দেশটি ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, যে দেশটি মূলত সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল, আর যে দেশের প্রধানমন্ত্রী গর্বের সঙ্গে স্বীকার করেন যে "জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধ করতে কয়েক হাজার সন্ত্রাসবাদীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন," এমন দেশ থেকে মানবাধিকার সম্পর্কিত কোনও ভাষণ ভারত বা অন্য কোনও দেশের শোনার প্রয়োজন নেই ৷ ’’
তিনি আরও বলেন , ’’হাজার হাজার শিখ, হিন্দু এবং খ্রিস্টান সংখ্যালঘু মহিলা পাকিস্তানে অপহরণ, জোর করে বিয়ে এবং ধর্মান্তরের শিকার হয়েছে।" বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধ-এর মানুষের দুর্দশার বিষয়ে ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, "পাকিস্তানের সুরক্ষা বাহিনী রোজই বেলুচিস্তানের বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে নিয়ে যেত ৷ অপহরণ ছাড়া একটা দিনও কাটেনি ৷"