ETV Bharat / bharat

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রের কাছে আইন পরিবর্তনের আর্জি সুশীল মোদির

পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতিতে দুঃখপ্রকাশ করেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদি । 1979-র আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রম আইনে পরিবর্তন আনার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন তিনি ।

bihar
bihar
author img

By

Published : Jun 9, 2020, 4:57 PM IST

পটনা, 9 জুন : পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতিতে দুঃখপ্রকাশ করলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদি । লকডাউনে বাড়ি ফিরতেন চাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা যন্ত্রণার । চার দশক পুরনো আন্তঃরাজ্য আইনের পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রকে বারবার অনুরোধও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি ।

কোরোনা সংকটের সময় লকডাউনে অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়রানি বহুগুণ বেড়েছে । আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রম আইন, 1979 মেনে চলেননি নিয়োগকারীরা । যে নিয়োগকারীরা বিহারের শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা আইন মেনে শ্রমিকদের কোনও সুবিধা দেননি বলেও অভিযোগ করেন সুশীল মোদি । তিনি বলেন, “রেজিস্ট্রারড ঠিকেদারদের দ্বারা নিযুক্ত শ্রমিকরা শুধুমাত্র এই আইনের আওতায় আসেন । এবং এজেন্ট দ্বারা নিযু্ক্ত শ্রমিকরা আইনের সুবিধা পান না । তাঁরাও সংখ্যায় অনেক ।”

চিকিৎসার খরচ, ট্রেন ভাড়া এবং জীবনযাপনের অন্যান্য খরচ দেওয়ার নির্দেশও দেয় এই শ্রম আইন । একজন শ্রম পর্যবেক্ষকের অন্যান্য রাজ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারতেন । পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের অধিকার পাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে পারতেন । এই শ্রম আইন অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা বলেও উল্লেখ করেন সুশীল মোদি ।

এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রসঙ্গ টেনে আনেন সুশীল । তিনি বলেন, “প্রত্যেক শ্রমিকের একটি অদ্বিতীয় পরিচিত নম্বর থাকা উচিত । জাতীয় ডেটাবেস অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিক এক দেশ রেশন কার্ড স্কিমে সামাজিক সুরক্ষা পেতে পারেন ।”

যদি এই সুবিধাগুলি দেওয়া হত তবে এই সংকটজনক সময়ে লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক সুবিধা পেতেন বলেও জানান সুশীল ।

কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিহারের শ্রমদপ্তরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সুশীল । পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার বিবেচনা করে এবং বিষয়টি নিয়ে ভেবে 1979-র আইনটিকে নতুনভাবে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি ।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বিহারে এখনও পর্যন্ত 30 লাখ শ্রমিক ফিরে এসেছেন । তাঁদের মধ্যে অনেকেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফিরেছেন । অনেকে ফিরেছেন বাসে । এবং অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল চালিয়ে বা হেঁটে রাজ্যে ফিরেছেন ।

পটনা, 9 জুন : পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতিতে দুঃখপ্রকাশ করলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদি । লকডাউনে বাড়ি ফিরতেন চাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা যন্ত্রণার । চার দশক পুরনো আন্তঃরাজ্য আইনের পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রকে বারবার অনুরোধও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি ।

কোরোনা সংকটের সময় লকডাউনে অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়রানি বহুগুণ বেড়েছে । আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রম আইন, 1979 মেনে চলেননি নিয়োগকারীরা । যে নিয়োগকারীরা বিহারের শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা আইন মেনে শ্রমিকদের কোনও সুবিধা দেননি বলেও অভিযোগ করেন সুশীল মোদি । তিনি বলেন, “রেজিস্ট্রারড ঠিকেদারদের দ্বারা নিযুক্ত শ্রমিকরা শুধুমাত্র এই আইনের আওতায় আসেন । এবং এজেন্ট দ্বারা নিযু্ক্ত শ্রমিকরা আইনের সুবিধা পান না । তাঁরাও সংখ্যায় অনেক ।”

চিকিৎসার খরচ, ট্রেন ভাড়া এবং জীবনযাপনের অন্যান্য খরচ দেওয়ার নির্দেশও দেয় এই শ্রম আইন । একজন শ্রম পর্যবেক্ষকের অন্যান্য রাজ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারতেন । পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের অধিকার পাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে পারতেন । এই শ্রম আইন অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা বলেও উল্লেখ করেন সুশীল মোদি ।

এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রসঙ্গ টেনে আনেন সুশীল । তিনি বলেন, “প্রত্যেক শ্রমিকের একটি অদ্বিতীয় পরিচিত নম্বর থাকা উচিত । জাতীয় ডেটাবেস অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিক এক দেশ রেশন কার্ড স্কিমে সামাজিক সুরক্ষা পেতে পারেন ।”

যদি এই সুবিধাগুলি দেওয়া হত তবে এই সংকটজনক সময়ে লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক সুবিধা পেতেন বলেও জানান সুশীল ।

কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিহারের শ্রমদপ্তরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সুশীল । পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার বিবেচনা করে এবং বিষয়টি নিয়ে ভেবে 1979-র আইনটিকে নতুনভাবে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি ।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বিহারে এখনও পর্যন্ত 30 লাখ শ্রমিক ফিরে এসেছেন । তাঁদের মধ্যে অনেকেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফিরেছেন । অনেকে ফিরেছেন বাসে । এবং অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল চালিয়ে বা হেঁটে রাজ্যে ফিরেছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.