শ্রীনগর, 7জুন : উত্তর কাশ্মীরে সম্প্রতি হিংসা সন্ত্রাসবাদীদের ঔদ্ধত্যের পরিচয় । কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের এই হামলা সাধারণ মানুষের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি । অন্তত তাঁদের উপর তো নেই যাঁরা অশান্তি চান না, জানালেন এক সেনা আধিকারিক ।
LTG বিএস রাজু বলেন, “সাধারণ মানুষ এই সন্ত্রাসকে সমর্থন করেন না । মানুষ একটা সমাধান চাইছে । তাঁরা হিংসার এই চক্র থেকে বের হতে চান । সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন একবারে ধুয়ে মুছে যাওয়ার এইটা অন্যতম কারণ । ”
সম্প্রতি উত্তর কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় সেনা কলোনেল এবং একজন মেজর শহিদ হয়েছেন । শহিদ হন এক CRPF কর্মীও । এই বিষয়ে সেনা আধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বারবার এই হামলা কোনওভাবই করে উত্তর কাশ্মীরে জঙ্গিদের উপস্থিতির বৃদ্ধি প্রমাণ করে না । তবে পাকিস্তানের মদতেই এখনও সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি ।
উত্তর কাশ্মীরের যুব সমাজের জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার সংখ্যা কমেছে বলেও দাবি করেন এই সেনা আধিকারিক । কারণ, 2018 সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেক সংখ্যক যুবক-যুবতি 2019 সালে জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন । 2020-র হিসেবে সেই সংখ্যা আরও কম । কাশ্মীর পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংও এই বিষয়ে আগে জানিয়েছিলেন । তিনি জানিয়েছিলেন, 2018 সালে 218জন স্থানীয় যুবক-যুবতি জঙ্গিসংগঠনে যোগ দিয়েছিল । 2019-এ সেই সংখ্যা 139 ।
উত্তর কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ অশান্তি চাইছেন না । তাঁরা শান্তির কথা ভাবছেন । তাঁরা সমাধান চাইছেন । যুব সমাজও সন্ত্রাসের থেকে দূরে হাঁটতে চাইছে । তবে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি যুবসমাজকে তাদের দিকে টানতে চাইবেই । কিন্তু তা যে সম্ভব হচ্ছে না সেই তথ্য বারবার প্রকাশ্যে এসেছে । স্থানীয় যুবকরা খেলা, শিক্ষা, চাকরিতেই আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানান বিএস রাজু । কাশ্মীরের যুবকদের ভাল ভবিষ্যৎ গড়তে কেন্দ্র সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি ।