সাগরিকা । কোড নেম K-15 । B-05 বলেও ডাকা হয় । এটি একটি সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিজ়াইল । নৌসেনার এই অস্ত্র শত্রুপক্ষকে নিমেষে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ।
সাগরিকার ইতিহাস
1990 সালের শেষের দিকে সাগরিকা তৈরির কাজ শুরু হয় । লক্ষ্য ছিল নৌসেনার জন্য একটি সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিজ়াইল তৈরি করা । ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)-র হায়দরাবাদ সেন্টারের মিজ়াইল কমপ্লেক্সে সাগরিকা তৈরির কাজ শুরু হয় । জলের নিচে যুদ্ধ করা এই মিজ়াইল লঞ্চার তৈরির প্রজেক্টের নাম ছিল প্রজেক্ট 420 । পরের দিকে এই মিজ়াইল নির্মাণে হাত লাগায় ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড (BDL) ৷ 2001 সালে গুজরাতের হাজিরায় মিজ়াইল তৈরির কাজ শেষ হয় । এবং পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
সাগরিকার আরও কিছু বৈশিষ্ট্য
- ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিংয়ের মতো উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সাগরিকার নকশা ৷
- GPS-বেসড লোকেটিং এইড রয়েছে এই মিজ়াইলে ৷
- রয়েছে NavIC স্যাটেলাইট গাইডেন্স ।
- জলের কম্পন, তাপমাত্রার পরিবর্তন সহ সমস্ত পরিস্থিতিতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে সাগরিকা ।
- এই মিজ়াইলের অপারেশনাল প্লাটফর্ম হল আরিহান্ত ক্লাস সাবমেরিন ।
- এতে টু স্টেজ রকেট মোটোর ইঞ্জন ব্যবহার করা হয়েছে ।
2018 থেকে পরিষেবায় সাগরিকা
2008 সাল পর্যন্ত সাতবার সফলভাবে উৎক্ষেপন করা হয়েছে এই মিজ়াইল । 2007 সালে বিশাখাপটনম উপকূলে সাগরিকার সফল উৎক্ষেপণ হয় । সেবার কাঙ্ঘিত রেঞ্জে পৌঁছাতে পেরেছিল সাগরিকা । 2012 ও 2013 সালেও পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় । INS আরিহান্ত থেকে k-15 সাগরিকার উৎক্ষেপণ হয় । 2018 থেকে পরিষেবায় সদা তৎপর সাগরিকা ।
সাগরিকার পরিবার
K15 ছাড়াও রয়েছে K4 , K5 ও K6 মিজ়াইল । K4 -র রেঞ্জ 3,500 কিমি, ওজন 20 টন । K5-র রেঞ্জ 5000 কিমি, k6-র রেঞ্জ 6000 কিমি ।