লাহোর, 4 নভেম্বর : চোর সন্দেহে এক যুবককে জেলে পিটিয়ে খুন করেছিল তিন পুলিশকর্মী, অভিযোগ এমনই ৷ সেই তিন পুলিশকর্মীকে খুনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিল একটি পাকিস্তান আদালত ৷ রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত জঙ্গি হাফিজ় সৈয়দের মধ্যস্থতায় নাকি এই পুলিশকর্মীরা রেহাই পেলেন ৷
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মানসিকভাবে অসুস্থ সালাহউদ্দিন আয়ুবিকে চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ATM থেকে টাকা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি পুলিশ ৷ এরপর তাকে জেলেই শারীরিক অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে ৷ জেলেই মৃত্যু হয় আয়ুবির ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোদ দায়ের করে আয়ুবির পরিবারের লোক ৷ পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ও মৃতের পরিবারের লোকের মধ্যে সমঝোতা করান আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজ় সৈয়দ ৷
26/11 মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ় সৈয়দ লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ৷ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এক পাকিস্তানি প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার ও অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য জেলে কয়েকবার দেখা করে ও তাদের মধ্যে চুক্তি করিয়ে দেয় ৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা ও গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেওয়ার চুক্তি হয় ৷
ওই আধিকারিক আরও জানেন, আয়ুবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সৈয়দের অনুগামী তাই পুলিশ জেলের অন্দরে তাদের 'বিশেষ সভা'-র ব্যবস্থা করেছিল ৷ সৈয়দ আয়ুবির পরিবারকে তিনটি উপায়ের একটি বেছে নিতে বলেন ৷ অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের থেকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা নেওয়া, ঈশ্বরের নামে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া এবং অন্যটি ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ৷ এরপর ওই পরিবার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনত ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷
সংবাদমাধ্যমের তরফে আয়ুবির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, সৈয়দের 'ইচ্ছার' জন্যই তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে তাদের ক্ষমা করে দেয় ৷