ভুবনেশ্বর(ওড়িশা), 24 এপ্রিল : ওড়িশার তিনটি জেলায় 60 ঘণ্টার সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করল সেখানকার সরকার । কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণেই জজপুর, ভদ্রক ও বালাসোরে এই লকডাউন জারি করা হয়েছে । গতকাল রাত 10 টা থেকে এই 60 ঘণ্টার সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়েছে ।
60 ঘণ্টার সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ঘোষণার পর ওড়িশার মুখ্য সচিব অসিত ত্রিপাঠী জানান, "গত পাঁচ দিনে 29 জন কোরোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে । যার মধ্যে 28 জন বালাসোর, ভদ্রক ও জজপুরের । তাই এই জেলাগুলিতে সংক্রমণ ঠেকাতে উচ্চস্তরের প্রস্তুতি শুরু করতেই হবে । "
মুখ্য সচিব বলেন, "এটা অনেকটা কারফিউয়ের মতো হবে । কেউ এই সময়সীমার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না । যদিও জরুরি পরিষেবা হিসেবে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের দোকান খোলা থাকবে । পাশাপাশি এই জেলাগুলি বা অন্যান্য জেলাগুলি মাধ্যমে জাতীয় সড়কে সামগ্রী আমদানি-রপ্তানিতে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না ।"
ওড়িশার এই তিনটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার তিন গুণ বৃদ্ধি করা হবে । পাশাপাশি এই জেলার অন্যান্য কোরোনা আক্রান্তদের হদিস পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার । এমনকী, মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগের উপরও নজর রাখা হচ্ছে ।
অসিত ত্রিপাঠী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি । আর তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা সীমান্তে ইতিমধ্যে পুলিশ আধিকারিকদের মোতায়েন করা হয়েছে । পাশাপাশি যাঁরা সম্প্রতি প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফিরেছেন তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য পঞ্চায়েত প্রধানদের বলা হয়েছে । সম্প্রতি যাঁরা অন্য রাজ্য থেকে ফিরেছেন তাঁরা যদি নিজে থেকে সামনে না আসেন তাহলে আইন মোতাবেক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
মুখ্য সচিবের লকডাউন ঘোষণার পর DGP অভয় একটি টুইট করেন । তিনি টুইট করেন, "মুখ্য সচিবের ঘোষিত 60 ঘণ্টার লকডাউন মেনে চলার জন্য জজপুর, ভদ্রক ও বালাসোরের বাসিন্দাদের কাছে আমি আবেদন করছি । যারা এই লকডাউন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ।"
রাজ্যের এই তিন জেলায় কোরোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ইতিমধ্যে তিন জন সচিবকে নিয়োগ করেছে ওড়িশা সরকার । গতকাল জজপুরে চার ও বালাসোরে দুই কোরোনা আক্রান্তের হদিস পাওয়ার পর ওড়িশায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 89 ।