দিল্লি, 7 জুন : এখন ভারতের উপর বাজি ধরার সেরা সময়। আগামী কয়েক দশক গ্রাহক কেন্দ্র, উৎপাদন ও পরিষেবার শীর্ষে থাকবে ভারত। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সাম্প্রতিক কমে যাওয়া সত্ত্বেও এমনই হবে বলে দাবি করলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি।
2019-20 অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে 4.2 শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এক দশকের বেশি সময়ে এটা সবচেয়ে কম। 2020 সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া আর্থিক বছরে GDP সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলো। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কোরোনা ভাইরাসের কারণেই এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
‘আদানি গ্যাস লিমিটেডের’ বার্ষিক রিপোর্টে চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেন, “আমাদের সবথেকে আগে বুঝতে হবে কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। বুঝতে হবে, এই কোরোনা ভাইরাসের সময় আমাদের প্রয়োজনটা। সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নতুন তথ্য উপলব্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত তা মানিয়ে নিতে হবে।”
তিনি বলেন, বড় বড় সংস্থান সহ দেশগুলো কোরোনার সঙ্গে লড়াই করছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত অনেক ভালোভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বলেন তিনি।এপ্রসঙ্গে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, “কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। একথা বলতে দ্বিধা বোধ করি না যে, সিদ্ধান্তগুলো নিতে দেরি হলে আমরা গুরুতর বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারতাম। যার প্রভাব শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বেও পড়ত।”
কোরোন ভাইরাসের কারণে অনেকেই কর্মচ্যুত হয়েছেন, অনেকে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এপ্রসঙ্গে গৌতম আদানি বলেন, “বর্তমানে ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতির মুখে রয়েছে। অনেকেই কর্মচ্যুত হয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা সকলেই দেখেছে। কিন্তু, অজানা বিকল্পগুলোর পরিণতি আরও মারাত্মক হবে।”
দেশের জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে ডাক্তার, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ছোট্ট ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ একে অপরকে খুব ভালোভাবে সমর্থন করছেন। আমরা আজ যেখানে বসে রয়েছি সেখান থেকে আমি বলতে পারি ইতিহাস তৈরির হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”