পানাজি, 7 জুন : ক্রমবর্ধমান কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যাকে মাথায় রেখেই আগামী 30 শে জুন অবধি গোয়ার সমস্ত চার্চ ও মসজিদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল।
গোয়া চার্চের এক মুখপাত্র জানান, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার থেকে চার্চ খোলা হচ্ছে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডায়োসেসান সেন্টার ফর সোশ্যাল কমিউনিকেশন মিডিয়ার ডিরেক্টর ফাদার ব্যারি কারডোজো বলেন, " আমাদের সমস্ত ধর্মযাজক এবং ধর্মবিশ্বাসীদের জানানো হচ্ছে, কোরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ফলে আগামীকাল থেকে প্রার্থনার জন্য ধর্মীয় স্থান খোলা সম্ভব নয়। যখন আমরা ধীরে ধীরে বিচক্ষণতা এবং সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, তা রাজ্য সরকারের SOP (স্ট্যান্ডার্ড পরিচালন পদ্ধতি) এর সঙ্গে মিলিত হবে, যা ততদিনে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।"
গোয়াতে 30 শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক, তবে কোরোনা সংক্রমণের কারণে মার্চ মাস থেকেই সমস্ত চার্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। বহু ধর্মযাজকই অনলাইনে যাবতীয় নিয়ম পালন করছেন। ইস্টার ও অন্যান্য উৎসবও জনসমাগম ছাড়াই পালিত হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাসোসিয়েশন অব অল গোয়া মুসলিম জামাতের তরফ থেকেও 30 জুন অবধি মসজিদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ বশির আহমেদ জানান, "1 জুন থেকে গোয়ায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় 196 জন আক্রান্ত হয়েছেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। তাই কমিটির সদস্যেরা সমাজের সুরক্ষার কথা ভেবে 30 জুন অবধি মসজিদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। "
তিনি আরও বলেন, " আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করছি এবং সমস্ত কমিটির সদস্য ও মসজিদের প্রধানদের অনুরোধ করছি যাতে এই নিয়ম মানা হয়। কোরোনা ভাইরাসের যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু না হয়, সেই দিকেও নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। "
তবে গোয়ার সমস্ত বড় মন্দিরগুলির প্রধান আজ একটি বৈঠকে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত শনিবার বলেন, রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থান খুলতে পারে, তবে কোনও জনসমাগম করা যাবে না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার অবধি গোয়ায় মোট 267টি কোরোনা সংক্রমণের মিলেছে, এরমধ্যে 202টি সক্রিয় কেস।