বড়লোক ভিখারি! কয়েক লাখ টাকার মালিক৷ মাসিক আয়ে বহু বেসরকারি সংস্থার পেশাদারকেও হার মানাবে৷ ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন না, এ হল হাতে গরম বাস্তব৷ যাবতীয় প্রবাদ প্রবচনকে নতুন করে লেখার মতো ঘটনা৷ ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করলে বাপ-মা হুঁশিয়ারি দেয়, শেষে ভিক্ষা করে খেতে হবে! চাকরি হারানো বিষাদগ্রস্ত বেকার বলেন, ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই! ভিক্ষা ও ভিখারিকে এমন নিচু নজরে দেখাই সাধারণ রেওয়াজ৷ কিন্তু সেই নজর নিয়েও ভাবতে হবে! কারণ এ দুনিয়ার বহু আশ্চর্যের মতো বড়লোক ভিখারিও রয়েছেন৷
নতুন করে সাড়া পড়েছে মুম্বইয়ের এক ভিখারির সম্পত্তির হিসেব মেলায়৷ নাম বুরজু চন্দ্র আজাদ৷ বুরজু শহরের এক বস্তি এলাকার বাসিন্দা৷ একাই থাকতেন৷ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর৷ এরপর মৃতকে শনাক্ত করতে পুলিশ পরিচয় জানার চেষ্টায় নামে৷ খোঁজখবর করে বুরজু ভিখারির বস্তির ঘরে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয় পুলিশের৷ যখন সেখান থেকে নগদ টাকা ও ফিক্সড ডিপোজ়িটের নথি উদ্ধার হয়৷ নথি অনুযায়ী ভিখারি বুরজু চন্দ্র আজাদের 8 লাখ 77 হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িট রয়েছে৷ অন্যদিকে ভিক্ষার নোট ও খুচরো গুণে নগদ 1 লাখ 50 হাজার টাকার হদিস পায় পুলিশ৷ নথি থেকেই জানা যায় লাখপতি ভিখারির গ্রামের বাড়ি রাজস্থানে৷ ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনিতে ছেলের নামও রয়েছে৷
এ অবশ্য নতুন ঘটনা না৷ 2015 সালে জানা গিয়েছিল ভরত জৈনের কথা৷ যিনি দেশের ধনী ভিখারির তালিকার শীর্ষে নিজের নাম লিখিয়েছেন৷ ভরতের মাসিক আয় 70 থেকে 80 হাজার টাকা৷ মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস ও আজাদ ময়দান এলাকায় ভিক্ষা করেন৷ সম্প্রতি মুম্বই শহরে 80 লাখ টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন৷ ওই 2015-তেই জানা গিয়েছিল কৃষ্ণা কুমার গীতের কথা৷ 40 থেকে 50 হাজার টাকা এক মাসে আয় করেন কৃষ্ণা৷ মুম্বইয়ের নালা সোপারাতে নিজস্ব ফ্ল্যাট কিনেছেন কৃষ্ণা কুমার গীতে ৷