ETV Bharat / bharat

আসুন করোনাকে রুখে দিই!

কোভিড মহামারী একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এবং গোটা পৃথিবীকে সুনামির মতো গ্রাস করছে। আমেরিকাতেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এবং চিকিৎসকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ লকডাউনের বিপক্ষে, কারণ এর ফলে ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য মানুষের জীবন ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে, দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

corona
আসুন করোনাকে রুখে দিই!
author img

By

Published : Mar 29, 2020, 11:15 PM IST

কোভিড মহামারী একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এবং গোটা পৃথিবীকে সুনামির মতো গ্রাস করছে। আমেরিকাতেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এবং চিকিৎসকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ লকডাউনের বিপক্ষে, কারণ এর ফলে ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য মানুষের জীবন ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে, দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। মহামারীর দ্রুত উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়া স্পষ্ট হয় এটা থেকেই যে, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম এক লক্ষে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন, পরের একলক্ষে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ১১ দিন, আর এরপর মাত্র চার দিনে আরও একলক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম পঞ্চাশে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৪০ দিন, এরপর আরও পঞ্চাশ জন যুক্ত হয় মাত্র পাঁচ দিনে। ভারতে পাঁচদিনের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া এই মহামারীর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত। করোনা চেন ভাঙতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা একটা শক্তিশালী রণকৌশল। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় আক্রান্ত হওয়ার চোদ্দ দিন পর। যদি রোগ একটি পরিবারের মধ্যেই আটকে থাকে, তাহলে তাদের চিহ্নিত করে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব। একইসঙ্গে সমাজের অন্যান্যদেরও এর শিকার হওয়া থেকে আটকানো যাবে। যেহেতু ভারত অতীতে গুটিবসন্ত বা পোলিওর মতো রোগকে মুছে ফেলতে পেরেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) চায় যে ভারতই কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিক। মহামারীর বিরুদ্ধে যারা প্রাণপণ লড়ছে, মানুষের উচিত সেই কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলোর রণকৌশলকে আপন করে নেওয়া এবং দেশকে জয়ী করতে সাহায্য করা। কোভিড মহামারীর জেরে কেন্দ্রের আরোপিত অবরোধে আর্থিক ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটি টাকা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান, আর্থিক ক্ষতির বিনিময়ে মানুষের জীবন রক্ষার্থে লকডাউনের উপযোগিতাকেই সমর্থন করছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, যেখানে চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ১০০টি করোনা সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছিল, পরের ১৫ দিনে সেটা ৯ গুণ বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের প্রবণতা ৬৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব, যদি প্রত্যেকটা পরিবার ঘরের মধ্যেই থাকেন। এতে সংক্রমণের সংখ্যা হঠাৎ করে কয়েক হাজারে পৌঁছে যাওয়ার বিপদ এড়ানো যাবে, এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ওপর অযথা চাপও পড়বে না। এমনও বলা হয়েছে, যে যদি আমরা উপসর্গ ছাড়া ৭৫ শতাংশ পজিটিভ কেস চিহ্নিত করতে পারি, তাহলেও আমরা একে মহামারী হয়ে ওঠা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার অভিজ্ঞতা আমাদের বুঝিয়েছে, যে কোভিডকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রযুক্তির সাহায্যে সন্দেহভাজন আক্রান্তদের চিহ্নিত করে, পরীক্ষা করে, কোভিডকে মহামারী হয়ে ওঠা থেকে আটকানোর চেষ্টা সত্ত্বেও, মাত্র একজন রোগী (রোগী নম্বর ৩১) স্বেচ্ছ্বায় গির্জা ও হাসপাতালে গিয়ে সংক্রমণের বিস্ফোরণের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছিলেন। এমন মারণ সংক্রমণ প্রতিরোধ করত, দেশের কোয়ারেন্টিন এখন একটা প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগণ্য আমেরিকা ৫৫ হাজারেরও বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়াার সহযোগিতাও চেয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রণকৌশলে, প্রতিটি নাগরিকেরই উচিত দায়বদ্ধ সৈনিক হয়ে ওঠা।

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্লেষণ, এবং ভারতও ব্যতিক্রম নয় বলে তাদের যে হুঁশিয়ারি, তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সরকারগুলোর চাপিয়ে দেওয়া লকডাউন, তাদের জনসংখ্যার অন্তত ৩০ শতাংশকে প্রভাবিত করবে। তাই সরকারগুলোর উচিত নাগরিকদের সাহায্য করতে এবং তাঁদের দুর্দশা লাঘব করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ করা। কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, যে খোলাবাজারে ৩৭ টাকা কেজি দরে যে চাল পাওয়া যায়, তা ৮০ কোটি মানুষকে ৩টাকা প্রতি কেজি দরে দেওয়া হবে। যখন ১৩০ কোটি মানুষ গৃহবন্দি হয়ে আছে, তখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস নাগালের মধ্যে থাকে, এবং মানুষ অপুষ্টি থেকে বাঁচতে পারে। কেরল সরকারের স্কুলপড়ুয়াদের বাড়িতেই তাদের মিড-ডে মিল পাঠাবার পরিকল্পনা করছে। এমন একটা সময়, যখন পুরো পরিবহণ ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে, তখন গুদামঘর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতেও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, মানুষ ই-কমার্স সাইটগুলোর মাধ্যমে তাঁদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের ৭৯ শতাংশ জিনিসই পাচ্ছেন না, পাইকারি বাজার থেকে তাঁরা পাচ্ছেন না ৩২ শতাংশ জিনিস। আর ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের মাল পৌঁছে দিতে সমস্যার মুখে পড়ছে। এইসব সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে, যাতে বাড়িতে থাকা মানুষগুলো খাবারের অভাবের মুখে না পড়ে। বিশ্বের বস্তিবাসীদের এক তৃতীয়াংশই ভারতে থাকেন, এই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত। ধারাভির মতো কলোনি, যেখানে ৭ লক্ষ মানুষ একে অপরের কাছাকাছি থাকেন, সেধরণের জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অসুবিধাগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। করোনার থেকে তৈরি সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে হবে সরকারগুলোকে, এবং মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মানুষকে প্রস্তুত করতে হবে।

কোভিড মহামারী একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এবং গোটা পৃথিবীকে সুনামির মতো গ্রাস করছে। আমেরিকাতেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এবং চিকিৎসকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ লকডাউনের বিপক্ষে, কারণ এর ফলে ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য মানুষের জীবন ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে, দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। মহামারীর দ্রুত উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়া স্পষ্ট হয় এটা থেকেই যে, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম এক লক্ষে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন, পরের একলক্ষে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ১১ দিন, আর এরপর মাত্র চার দিনে আরও একলক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম পঞ্চাশে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৪০ দিন, এরপর আরও পঞ্চাশ জন যুক্ত হয় মাত্র পাঁচ দিনে। ভারতে পাঁচদিনের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া এই মহামারীর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত। করোনা চেন ভাঙতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা একটা শক্তিশালী রণকৌশল। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় আক্রান্ত হওয়ার চোদ্দ দিন পর। যদি রোগ একটি পরিবারের মধ্যেই আটকে থাকে, তাহলে তাদের চিহ্নিত করে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব। একইসঙ্গে সমাজের অন্যান্যদেরও এর শিকার হওয়া থেকে আটকানো যাবে। যেহেতু ভারত অতীতে গুটিবসন্ত বা পোলিওর মতো রোগকে মুছে ফেলতে পেরেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) চায় যে ভারতই কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিক। মহামারীর বিরুদ্ধে যারা প্রাণপণ লড়ছে, মানুষের উচিত সেই কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলোর রণকৌশলকে আপন করে নেওয়া এবং দেশকে জয়ী করতে সাহায্য করা। কোভিড মহামারীর জেরে কেন্দ্রের আরোপিত অবরোধে আর্থিক ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটি টাকা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান, আর্থিক ক্ষতির বিনিময়ে মানুষের জীবন রক্ষার্থে লকডাউনের উপযোগিতাকেই সমর্থন করছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, যেখানে চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ১০০টি করোনা সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছিল, পরের ১৫ দিনে সেটা ৯ গুণ বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের প্রবণতা ৬৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব, যদি প্রত্যেকটা পরিবার ঘরের মধ্যেই থাকেন। এতে সংক্রমণের সংখ্যা হঠাৎ করে কয়েক হাজারে পৌঁছে যাওয়ার বিপদ এড়ানো যাবে, এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ওপর অযথা চাপও পড়বে না। এমনও বলা হয়েছে, যে যদি আমরা উপসর্গ ছাড়া ৭৫ শতাংশ পজিটিভ কেস চিহ্নিত করতে পারি, তাহলেও আমরা একে মহামারী হয়ে ওঠা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার অভিজ্ঞতা আমাদের বুঝিয়েছে, যে কোভিডকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রযুক্তির সাহায্যে সন্দেহভাজন আক্রান্তদের চিহ্নিত করে, পরীক্ষা করে, কোভিডকে মহামারী হয়ে ওঠা থেকে আটকানোর চেষ্টা সত্ত্বেও, মাত্র একজন রোগী (রোগী নম্বর ৩১) স্বেচ্ছ্বায় গির্জা ও হাসপাতালে গিয়ে সংক্রমণের বিস্ফোরণের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছিলেন। এমন মারণ সংক্রমণ প্রতিরোধ করত, দেশের কোয়ারেন্টিন এখন একটা প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগণ্য আমেরিকা ৫৫ হাজারেরও বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়াার সহযোগিতাও চেয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রণকৌশলে, প্রতিটি নাগরিকেরই উচিত দায়বদ্ধ সৈনিক হয়ে ওঠা।

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্লেষণ, এবং ভারতও ব্যতিক্রম নয় বলে তাদের যে হুঁশিয়ারি, তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সরকারগুলোর চাপিয়ে দেওয়া লকডাউন, তাদের জনসংখ্যার অন্তত ৩০ শতাংশকে প্রভাবিত করবে। তাই সরকারগুলোর উচিত নাগরিকদের সাহায্য করতে এবং তাঁদের দুর্দশা লাঘব করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ করা। কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, যে খোলাবাজারে ৩৭ টাকা কেজি দরে যে চাল পাওয়া যায়, তা ৮০ কোটি মানুষকে ৩টাকা প্রতি কেজি দরে দেওয়া হবে। যখন ১৩০ কোটি মানুষ গৃহবন্দি হয়ে আছে, তখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস নাগালের মধ্যে থাকে, এবং মানুষ অপুষ্টি থেকে বাঁচতে পারে। কেরল সরকারের স্কুলপড়ুয়াদের বাড়িতেই তাদের মিড-ডে মিল পাঠাবার পরিকল্পনা করছে। এমন একটা সময়, যখন পুরো পরিবহণ ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে, তখন গুদামঘর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতেও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, মানুষ ই-কমার্স সাইটগুলোর মাধ্যমে তাঁদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের ৭৯ শতাংশ জিনিসই পাচ্ছেন না, পাইকারি বাজার থেকে তাঁরা পাচ্ছেন না ৩২ শতাংশ জিনিস। আর ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের মাল পৌঁছে দিতে সমস্যার মুখে পড়ছে। এইসব সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে, যাতে বাড়িতে থাকা মানুষগুলো খাবারের অভাবের মুখে না পড়ে। বিশ্বের বস্তিবাসীদের এক তৃতীয়াংশই ভারতে থাকেন, এই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত। ধারাভির মতো কলোনি, যেখানে ৭ লক্ষ মানুষ একে অপরের কাছাকাছি থাকেন, সেধরণের জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অসুবিধাগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। করোনার থেকে তৈরি সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে হবে সরকারগুলোকে, এবং মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মানুষকে প্রস্তুত করতে হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.