বেঙ্গালুরু, 13 অক্টোবর : কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর আপ্তসহায়কের ঝুুলন্ত দেহ উদ্ধার ৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যা করেছেন রমেশ নামে ওই ব্যক্তি ৷ সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর-দপ্তর ৷ তার পরই এই ঘটনা ৷
বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানভারতী ক্যাম্পাসের একটি গাছে রমেশের (40) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি ৷ বলেছিলেন জি পরমেশ্বরের বাড়িতে যাচ্ছেন ৷ বাড়ি থেকে বেরোনের তিন ঘণ্টা পরই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ৷
সম্প্রতি কর্নাটক মেডিক্যাল কলেজে ভরতি নিয়ে একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ৷ আয়কর-দপ্তর শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতেও তল্লাশি চালায় ৷ এছাড়াও পরমেশ্বর ও কংগ্রেস নেতা জালাপ্পার অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তিতেও তল্লাশি চালায় আয়করদপ্তরের আধিকারিকরা ৷ প্রায় 300 কোটির কাছাকাছি হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের ৷ 60 ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর গতকাল গহনা ও টাকা উদ্ধার হয় ৷ যার মূল্য প্রায় 10 কোটি টাকা ৷ কর্নাটক এবং রাজস্থানের 32টি জায়াগায় তল্লাশি চালায় আধিকারিকরা ৷ তারা পরমেশ্বরের কলেজের কিছু নকল পাস-বইও খুঁজে পায় ৷
এই মৃত্যুতে ED এবং আয়কর দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আজ কংগ্রেস নেতারা বেঙ্গালুরুতে প্রতিবাদ করেন ৷ রমেশ 15 বছর আগে একজন টাইপিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন ৷ পরবর্তীকালে তিনি আপ্ত সহায়ক পদে নিযুক্ত হন ৷ রমেশ জি পরমেশ্বরের বিষয়ে বেশ কিছু জরুরি তথ্য জানতেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷
![protest](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/4737362_wb_photo.jpg)
রমেশের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৷ 50 মিটারের মধ্যেই রাখা ছিল তার গাড়িটি ৷ তাঁর গাড়ির ভেতরে পাওয়া যায় সুইসাইড নোট ৷ তিনি লিখেছিলেন, আয়কর দপ্তরের হেনস্থার শিকার রমেশ ৷ তাই এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ ৷ তিনি লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের কোনও হয়রানি যেন না হয় ৷
তাঁর স্ত্রী সৌম্যা জানান, " আয়করদপ্তরের আধিকারিকরা শুক্রবার আমাদের বাড়ি এসেছিলেন ৷ আমার স্বামীকে প্রশ্ন করেন ৷ ও বলেছিল এভাবে হেনস্থা করলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে ৷" আধিকারিকরা জানান, তাঁরা রমেশকে কোনও প্রশ্ন করেনি ৷ তাঁকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পরমেশ্বরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ ''