গোঁফের দৌলতে অনেকে পুরুষত্বের অহংকার
করে । আজকাল স্টাইল স্টেটমেন্টও বটে । কিন্তু অ্যামেরিকার এই এলাকায় একসময় গোঁফই
ছিল চরম শত্রু । কারণ গোঁফের জন্যই ভাঙত প্রেম । প্রেমিকরা বঞ্চিত হতেন প্রেমিকার
চুম্বন থেকে ।
হ্যাঁ
শুনতে অদ্ভূত লাগলেও একসময় এমনই আইন ছিল অ্যামেরিকার নেভাদার এলকোতে । উনবিংশ
শতকের শেষের দিকে এই আইন আনা হয়েছিল । তবে এর পিছনে ঠিক কী কারণ ছিল, তাঁর কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া
যায়নি । আইনে বলা হয়েছিল, আপনার
যদি গোঁফ থাকে, তাহলে
আপনি চুম্বন করতে পারবেন না । অর্থাৎ চুম্বন করতে গেলে গোঁফ রাখা চলবে না কিছুতেই
। বেশ কয়েকবছর ধরে জারি ছিল এই আইন । এর জেরে বহুবার সমস্যায় পড়েন এলকোর
বাসিন্দারা । রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে চুম্বন করতে গিয়ে অনেককে জরিমানা দিতে হয় ।
তৎকালীন সময়ে এক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়া একটি ঘটনা সবার নজর কেড়েছিল ।
গোঁফজোড়া নিয়ে রাস্তায় চুম্বন করেছিলেন এক ব্যক্তি । একে আইন মানেননি । তারউপর
পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন । শেষমেশ তাকে জেল পর্যন্ত যেতে হয়েছিল । পশ্চিম
অ্যামেরিকার মতো উন্নত জায়গায় এইরকম নিয়ম নিয়ে তৎকালীন সময়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল ।
সমাজেরা নানা স্তরে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয় । মানুষজন অল্প-বিস্তর বিক্ষোভও দেখান ।
কিন্তু আইনের কাছে কাবু হয়ে গেছিল এলকোর বাসিন্দারা । বেশ কয়েকবছর ধরে গোঁফ
বিসর্জন দিয়েই চুম্বনের অভ্যাস তৈরি হয়ে যায় ।
তবে
এই 'নির্মম' বিধি থেকে পরের দিকে মুক্তি পায় এলকো
। বিংশ শতকের শুরুর দিকে তুলে নেওয়া হয় গোঁফ ও চুমুর এই আইন ।