ETV Bharat / bharat

লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব একাধিক রাজ্যের, স্পষ্ট করল না কেন্দ্র - corona news

লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে জল্পনা জারি । রাজ্যগুলির আবেদন খতিয়ে দেখবে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র । তবে এখনও কিছু স্পষ্ট নয় ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 7, 2020, 7:24 PM IST

দিল্লি, 7 এপ্রিল : 14 এপ্রিলের পর লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে না কি সেদিনই শেষ লকডাউন, আপাতত এনিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট বার্তা দেয়নি । তবে ইতিমধ্যেই সরকারের নানা মহল থেকে নানারকম বিবৃতি সামনে এসেছে । এই মুহূর্তে একাধিক রাজ্য সরকার লকডাউন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে । কেন্দ্রের তরফে তাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে খবর । অন্যদিকে কিছু রাজ্য আবার লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় । তাই লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে কি না তা আপাতত অস্পষ্ট ।

আজই কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞ সহ রাজ্য সরকারগুলি লকডাউন বাড়ানোর জন্য যে আবেদন জানিয়েছেন তা বিবেচনা করবে কেন্দ্র সরকার । খতিয়ে দেখবে সামগ্রিক পরিস্থিতি । অন্যদিকে, আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, "লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । তাই এনিয়ে অধিক জল্পনা বাড়িয়ে নেই ।"

গতকালই লকডাউন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও । তিনি বলেন, "আমার মনে হয় লকডাউন দীর্ঘসময় পর্যন্ত চলা উচিত । এখন আমাদের জীবন বাঁচাতে হবে । পরে আমরা দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে পারব ।"প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে তেলাঙ্গানা । রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত অবশ্য় বলছেন, এই মুহূর্তে লকডাউন তুলে নেওয়া ঠিক হবে না । কিছুদিন অন্তর অন্তর লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।

অন্যদিকে, অসম সরকারের তরফে আবার জানানো হয়, যুক্তিযুক্তভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে পদক্ষেপ করা হবে তাকে স্বাগত জানাবে রাজ্য । অসমের অর্থমন্ত্রী হেমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি । আমরা চাই না 15 এপ্রিলের সকালে আবার সবকিছু খুলে দেওয়া উচিত । আমরা চাই সমস্ত দিক বিচার করে যেন যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । যাতে লকডাউনের সময় কষ্ট করে সংক্রমণ প্রতিরোধে যেটুকু সমর্থ হয়েছি তা যেন একদিনে বিফলে না চলে যায় ।" উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকও একই সুরে কথা বলছে ।

গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর বলেন, "প্রতিটি মিনিট সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি আমরা । যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন তা দেশ ও দেশবাসীর সুরক্ষার স্বার্থে নেওয়া হবে । যথাসময়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে ।" এরপর গতকাল উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক অবশ্য অন্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন । উত্তরপ্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অওয়াস্থি বলেন, "আমাদের রাজ্য কোরোনামুক্ত হওয়ার পরই লকডাউন তোলা হবে । যদি একটিও কোরোনায় আক্রান্ত থেকে যান, সেক্ষেত্রে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা বিপদ হয়ে দাঁড়াবে । তাই লকডাউন তুলতে এখনও সময় লাগতে পারে ।"

এর আগে 24 মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে 21 দিন ব্যাপী লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । এরপর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোরোনার জেরে যে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে । রাজ্যগুলিকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে এবং যে জায়গাগুলিতে সংক্রমণের প্রভাব কম ধীরে ধীরে সেগুলি খুলতে হবে ।

এই পরিস্থিতিতে লকডাউন যথাসময়ে উঠবে না বাড়ানো হবে সেজন্য পরবর্তী ঘোষণার অপেক্ষায় থাকতে হবে দেশবাসীকে । উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই 4000 ছাড়িয়েছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত শতাধিক ।

দিল্লি, 7 এপ্রিল : 14 এপ্রিলের পর লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে না কি সেদিনই শেষ লকডাউন, আপাতত এনিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট বার্তা দেয়নি । তবে ইতিমধ্যেই সরকারের নানা মহল থেকে নানারকম বিবৃতি সামনে এসেছে । এই মুহূর্তে একাধিক রাজ্য সরকার লকডাউন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে । কেন্দ্রের তরফে তাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে খবর । অন্যদিকে কিছু রাজ্য আবার লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় । তাই লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে কি না তা আপাতত অস্পষ্ট ।

আজই কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞ সহ রাজ্য সরকারগুলি লকডাউন বাড়ানোর জন্য যে আবেদন জানিয়েছেন তা বিবেচনা করবে কেন্দ্র সরকার । খতিয়ে দেখবে সামগ্রিক পরিস্থিতি । অন্যদিকে, আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, "লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । তাই এনিয়ে অধিক জল্পনা বাড়িয়ে নেই ।"

গতকালই লকডাউন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও । তিনি বলেন, "আমার মনে হয় লকডাউন দীর্ঘসময় পর্যন্ত চলা উচিত । এখন আমাদের জীবন বাঁচাতে হবে । পরে আমরা দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে পারব ।"প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে তেলাঙ্গানা । রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত অবশ্য় বলছেন, এই মুহূর্তে লকডাউন তুলে নেওয়া ঠিক হবে না । কিছুদিন অন্তর অন্তর লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।

অন্যদিকে, অসম সরকারের তরফে আবার জানানো হয়, যুক্তিযুক্তভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে পদক্ষেপ করা হবে তাকে স্বাগত জানাবে রাজ্য । অসমের অর্থমন্ত্রী হেমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি । আমরা চাই না 15 এপ্রিলের সকালে আবার সবকিছু খুলে দেওয়া উচিত । আমরা চাই সমস্ত দিক বিচার করে যেন যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । যাতে লকডাউনের সময় কষ্ট করে সংক্রমণ প্রতিরোধে যেটুকু সমর্থ হয়েছি তা যেন একদিনে বিফলে না চলে যায় ।" উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকও একই সুরে কথা বলছে ।

গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর বলেন, "প্রতিটি মিনিট সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি আমরা । যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন তা দেশ ও দেশবাসীর সুরক্ষার স্বার্থে নেওয়া হবে । যথাসময়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে ।" এরপর গতকাল উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক অবশ্য অন্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন । উত্তরপ্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অওয়াস্থি বলেন, "আমাদের রাজ্য কোরোনামুক্ত হওয়ার পরই লকডাউন তোলা হবে । যদি একটিও কোরোনায় আক্রান্ত থেকে যান, সেক্ষেত্রে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা বিপদ হয়ে দাঁড়াবে । তাই লকডাউন তুলতে এখনও সময় লাগতে পারে ।"

এর আগে 24 মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে 21 দিন ব্যাপী লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । এরপর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোরোনার জেরে যে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে । রাজ্যগুলিকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে এবং যে জায়গাগুলিতে সংক্রমণের প্রভাব কম ধীরে ধীরে সেগুলি খুলতে হবে ।

এই পরিস্থিতিতে লকডাউন যথাসময়ে উঠবে না বাড়ানো হবে সেজন্য পরবর্তী ঘোষণার অপেক্ষায় থাকতে হবে দেশবাসীকে । উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই 4000 ছাড়িয়েছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত শতাধিক ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.