ETV Bharat / bharat

অবিক্রিত টিকিটেই 12 কোটির মালিক লটারি বিক্রেতা

লটারির টিকিট বিক্রি করে কোনওক্রমে দিন গুজরান করা শরাফুদ্দিন এখন তাঁরই লটারির জোরে কোটিপতি। বিক্রি না-হওয়া এক লটারির টিকিট তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। শরাফুদ্দিন জিতে নিয়েছেন ১২ কোটি টাকা।

Fortune smiles on Kerala lottery seller as unsold ticket makes him crorepati
অবিক্রিত টিকিটেই 12 কোটির মালিক লটারি বিক্রেতা
author img

By

Published : Jan 21, 2021, 5:10 PM IST

তিরুবনন্তপুরম, 21 জানুয়ারি: গরিব-গুর্বোদের লাখোপতি, কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন শরাফুদ্দিন। লটারির টিকিট বিক্রি করে কোনওক্রমে দিন গুজরান করলেও, কখনও নিজে ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার সাহস দেখাতে পারেননি। তবে ভাগ্য যখন সহায়, তখন আর তাঁর ধনী হওয়া আটকায় কে? বিক্রি না-হওয়া এক লটারির টিকিটই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। শরাফুদ্দিন জিতে নিয়েছেন ১২ কোটি টাকা।

তিরুবনন্তপুরমের ঘটনা। তেনকাসির বাসিন্দা ৪৬ বছরের শরাফুদ্দিনের ঝুলিতে এখন কেরালা সরকারের ক্রিসমাস-নিউ ইয়ার বাম্পারের প্রথম পুরস্কার ১২ কোটি টাকা। তামিলনাড়ুর সীমান্ত লাগোয়া কোল্লাম জেলায় আর্যানকাভুর কাছে এরাভিধর্মাপুরমে সরকারের জমিতে ছোট্ট একচিলতে ঘর। ঠাসাঠাসি করে সেখানেই বাস শরাফুদ্দিনের ৬ জনের যৌথ পরিবারের। ২০১৩ সালে গাল্ফ থেকে ফেরেন তিনি। তারপরই শুরু করেন লটারি বিক্রির ব্যবসা। কোনও ক্রমে দিন চালাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি আরও কঠিন হয় কোভিড পরিস্থিতিতে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে। এরই মধ্যে হাতে লেগে গেল অপ্রত্যাশিত জ্যাকপট।

লটারি জেতার পর শরাফুদ্দিন জানালেন, ''পুরস্কারের এই টাকা দিয়ে নিজের একটা বাড়ি বানাতে চাই। ঋণ শোধ করব আর ছোট একটা ব্যবসা শুরু করব।''

শরাফুদ্দিনের পরিবারে রয়েছেন তাঁর মা, দুই ভাই, স্ত্রী ও ছেলে পারভেজ মুশারফ। পারভেজ দশম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সে-ই বাবার জেতা লটারির টিকিট নিয়ে যায় লটারি ডিরেক্টোরেটের কাছে। কর বাবদ ৩০ শতাংশ ও এজেন্টের কমিশন বাবদ ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে প্রায় কড়কড়ে 7.50 কোটি টাকা পেয়েছেন শরাফুদ্দিন। দিন বদলের জোয়ারে ভেসে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে গরিবের পরিবার।

তিরুবনন্তপুরম, 21 জানুয়ারি: গরিব-গুর্বোদের লাখোপতি, কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন শরাফুদ্দিন। লটারির টিকিট বিক্রি করে কোনওক্রমে দিন গুজরান করলেও, কখনও নিজে ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার সাহস দেখাতে পারেননি। তবে ভাগ্য যখন সহায়, তখন আর তাঁর ধনী হওয়া আটকায় কে? বিক্রি না-হওয়া এক লটারির টিকিটই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। শরাফুদ্দিন জিতে নিয়েছেন ১২ কোটি টাকা।

তিরুবনন্তপুরমের ঘটনা। তেনকাসির বাসিন্দা ৪৬ বছরের শরাফুদ্দিনের ঝুলিতে এখন কেরালা সরকারের ক্রিসমাস-নিউ ইয়ার বাম্পারের প্রথম পুরস্কার ১২ কোটি টাকা। তামিলনাড়ুর সীমান্ত লাগোয়া কোল্লাম জেলায় আর্যানকাভুর কাছে এরাভিধর্মাপুরমে সরকারের জমিতে ছোট্ট একচিলতে ঘর। ঠাসাঠাসি করে সেখানেই বাস শরাফুদ্দিনের ৬ জনের যৌথ পরিবারের। ২০১৩ সালে গাল্ফ থেকে ফেরেন তিনি। তারপরই শুরু করেন লটারি বিক্রির ব্যবসা। কোনও ক্রমে দিন চালাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি আরও কঠিন হয় কোভিড পরিস্থিতিতে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে। এরই মধ্যে হাতে লেগে গেল অপ্রত্যাশিত জ্যাকপট।

লটারি জেতার পর শরাফুদ্দিন জানালেন, ''পুরস্কারের এই টাকা দিয়ে নিজের একটা বাড়ি বানাতে চাই। ঋণ শোধ করব আর ছোট একটা ব্যবসা শুরু করব।''

শরাফুদ্দিনের পরিবারে রয়েছেন তাঁর মা, দুই ভাই, স্ত্রী ও ছেলে পারভেজ মুশারফ। পারভেজ দশম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সে-ই বাবার জেতা লটারির টিকিট নিয়ে যায় লটারি ডিরেক্টোরেটের কাছে। কর বাবদ ৩০ শতাংশ ও এজেন্টের কমিশন বাবদ ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে প্রায় কড়কড়ে 7.50 কোটি টাকা পেয়েছেন শরাফুদ্দিন। দিন বদলের জোয়ারে ভেসে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে গরিবের পরিবার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.