ETV Bharat / bharat

পুত্রের মতো পৈতৃক সম্পত্তিতে এখন কন্যারও সমান অধিকার - Neha Goel

11 অগাস্ট , 2020, সুপ্রিম কোর্ট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, যেহেতু আইনি উত্তরাধিকার জন্মগতভাবে হয় , তাই কন্যার উত্তরাধিকার দাবির জন্য পিতার 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেঁচে থাকা বাধ্যতামূলক নয় । এছাড়াও,2005 সালের 9 সেপ্টেম্বর আইন কার্যকর হওয়ার আগে জন্মানো কন্যারাও পিতার সম্পত্তিতে সমান অধিকার দাবি করতে পারবে ।

COURT
COURT
author img

By

Published : Aug 13, 2020, 4:18 AM IST

হায়দরাবাদ, 12 অগাস্ট : মঙ্গলবার একটি অভূতপূর্ব রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নিদান দিয়েছে যে হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের ( Hindu Undivided Family) কন্যার, পুত্রের মতোই পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার থাকবে। এমনকি হিন্দু উত্তরাধিকার সংশোধনীর সময় অর্থাৎ 2005 সালের আগে তাদের পিতা মারা গেলেও আইন কার্যকর হবে ।

121 পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে " পিতা বেঁচে থাকুক কিংবা মারা যাক, কন্যা সারাজীবন পিতার সম্পত্তির উত্তারাধিকারী থাকবে । "রায়টি আইনের পূর্ববর্তী প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে 9 সেপ্টেম্বর 2005 এর আগে অর্থাৎ উত্তরাধিকার আইন সংশোধনী কার্যকর হওয়ার আগে জন্মানো কন্যারাও পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার দাবি করতে পারবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আরও ভালোভাবে বুঝতে, বর্তমান আইনটির অর্থ কী তা একবারে দেখে নেওয়া যাক।

হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) কী ?

হিন্দু আইনের অধীনে, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF)একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত । একই পূর্বপুরুষের সমস্ত লৌকিক বংশধর এবং এতে তাঁদের স্ত্রী এবং অবিবাহিত কন্যারাও অন্তর্ভুক্ত থাকে । হিন্দুরা ছাড়াও জৈন, শিখ বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা HUFগঠন করতে পারে ।

কারা কারা উত্তরাধিকারী হতে পারে ?

হিন্দু অবিভক্ত পরিবারে (HUF) বেশ কিছু আইনী উত্তরাধিকারী থাকেন । যারা জন্মগতভাবে পৈতৃক সম্পত্তিতে আইনী অধিকার পায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, জন্মগতভাবে পাওয়া আইনি অধিকারের জন্য কোনও চুক্তির দরকার হয় না । এছাড়া উত্তরাধিকারী হওয়ার একমাত্র অন্য পদ্ধতি হ'ল দত্তক নেওয়া । আইনিভাবে কাউকে দত্তক নেওয়া হলে তিনিও দত্তক নেওয়া পিতার সম্পত্তিতে আইনি অধিকার পান ।

পরিবারের বয়জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং তিন প্রজন্ম সম্পত্তির আইনি উত্তরাধিকারী হন । 2005 সালের আগে এই আইনে কোনও ব্যাক্তির শুধুমাত্র পুত্র, নাতি এবং অবিবাহিত নাতনিরা উত্তাধিকার দাবি করতে পারতেন । বিবাহিত কন্যা হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও উত্তরাধিকারি হতে পারতেন না। তবে 2005 সালে, প্রতিটি বিবাহিত কন্যাকে পুত্রের হিসাবে সমান অধিকার, দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছিল ।

আইনি উত্তরাধিকারীর কী কী অধিকার থাকে ?

পৈতৃক সম্পত্তিতে আইনি অধিকার ছাড়াও আইনি উত্তরাধিকারীরা পৈতৃক সম্পত্তির বিভাজনের দাবিতে মামলা করতে পারেন । আইনি উত্তরাধিকারি হিসেবে কন্যারাও এখন তার পিতার সম্পত্তি ভাগ করার দাবি জানাতে পারে যা 2005 সালেরএর আগে অনুমোদিত ছিল না।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে কী কী অন্তর্ভুক্ত থাকে?

পৈতৃক এবং স্ব-অর্জিত সম্পত্তি উভয়ই নিজস্ব সম্পত্তি হতে পারে। পৈতৃক সম্পত্তির ক্ষেত্রে, আইনি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হয়, স্ব-অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে, ব্যক্তি নিজের ইচ্ছানুযায়ী সম্পত্তি পরিচালনা করতে পারে ।

যদি কোনও পিতা উইল না করেও মারা যায় তবে পিতৃপুরুষ এবং স্ব-অধিগৃহিত উভয় সম্পত্তিতেই কন্যার সমান অধিকার থাকবে ।

2005 সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে কী কী সংশোধনী আনা হয়েছিল ?

2005 সালের আগে, কন্যাদের বিবাহের পর সে তার পিতার অবিভক্ত পরিবারের সদস্য থাকতে পারত না, এবং তার কোনও সহজাত অধিকার থাকত না । 9 সেপ্টেম্বর 2005-এ, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, 1956 সংশোধন করা হয়েছিল । হিন্দু উত্তরাধিকার সংশোধন আইন, 2005 অনুসারে, প্রতিটি কন্যা, বিবাহিত বা অবিবাহিত, সে তার পিতার অবিভক্ত পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবে এবং তাকে তার পিতার অবিভক্ত পরিবারের সম্পত্তির কর্তা (প্রধান পরিচালক) হিসাবেও নিয়োগ করা যেতে পারে। সংশোধনীতে কন্যাদের একই অধিকার, কর্তব্য, দায়বদ্ধতার অনুমতি দেয় যা আগে শুধু পুত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল ।

এর অর্থ পৈতৃক সম্পত্তি এবং অন্য অধিকারের পাশাপাশি কন্যারা পিতার ঋণ ও সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য় দায়বদ্ধ থাকবে।

11 অগাস্ট, 2020-র সুপ্রিম কোর্টের রায় কী বলছে ?

2005 সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের সংশোধনী কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিল যেখানে 9 সেপ্টেম্বর 2005 বা তার পরে পিতা বেঁচে ছিল । কোনও পিতা যদি 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বরের আগে মারা গিয়ে থাকে তাহলে এই সংশোধনীর কোনও সুবিধা সে পাবে না । অর্থাৎ পৈতৃক সম্পত্তিতে তার কোনও অধিকার থাকবে না ।

এছাড়াও, শীর্ষ আদালতের পূর্বের রায়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল । 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বরের আগে জন্মানো কন্যারা পিতার সম্পত্তির অধিকার পাবে কি না তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ।

মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, যেহেতু আইনি উত্তরাধিকার জন্মগতভাবে হয়, কন্যার উত্তরাধিকার দাবির জন্য পিতার 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেঁচে থাকা বাধ্যতামূলক নয় । এছাড়াও,2005 সালের 9 সেপ্টেম্বর আইন কার্যকর হওয়ার আগে জন্মানো কন্যারাও পিতার সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারবে ।

কোন কোন ক্ষেত্রে কন্যার আইনি অধিকার হ্রাস করা হবে ?

2005 সংশোধনী আইন অনুযায়ী, কন্যার উত্তরাধিকার কেবল তখনই কার্যকর হবে না, যদি 2004 সালের 20 ডিসেম্বরের আগে পিতার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে গিয়ে থাকে । অর্থাৎ সেই সময় যদি সম্পত্তির অধিকার নিয়ে কোনও নিষ্পত্তি হয়ে থাকে, তবে কন্যারা বর্তমান উত্তরাধিকারীদের কোনও প্রশ্ন করতে পারবে না ।।

(ইটিভি ভারত রিপোর্ট)

হায়দরাবাদ, 12 অগাস্ট : মঙ্গলবার একটি অভূতপূর্ব রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নিদান দিয়েছে যে হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের ( Hindu Undivided Family) কন্যার, পুত্রের মতোই পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার থাকবে। এমনকি হিন্দু উত্তরাধিকার সংশোধনীর সময় অর্থাৎ 2005 সালের আগে তাদের পিতা মারা গেলেও আইন কার্যকর হবে ।

121 পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে " পিতা বেঁচে থাকুক কিংবা মারা যাক, কন্যা সারাজীবন পিতার সম্পত্তির উত্তারাধিকারী থাকবে । "রায়টি আইনের পূর্ববর্তী প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে 9 সেপ্টেম্বর 2005 এর আগে অর্থাৎ উত্তরাধিকার আইন সংশোধনী কার্যকর হওয়ার আগে জন্মানো কন্যারাও পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার দাবি করতে পারবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আরও ভালোভাবে বুঝতে, বর্তমান আইনটির অর্থ কী তা একবারে দেখে নেওয়া যাক।

হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) কী ?

হিন্দু আইনের অধীনে, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF)একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত । একই পূর্বপুরুষের সমস্ত লৌকিক বংশধর এবং এতে তাঁদের স্ত্রী এবং অবিবাহিত কন্যারাও অন্তর্ভুক্ত থাকে । হিন্দুরা ছাড়াও জৈন, শিখ বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা HUFগঠন করতে পারে ।

কারা কারা উত্তরাধিকারী হতে পারে ?

হিন্দু অবিভক্ত পরিবারে (HUF) বেশ কিছু আইনী উত্তরাধিকারী থাকেন । যারা জন্মগতভাবে পৈতৃক সম্পত্তিতে আইনী অধিকার পায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, জন্মগতভাবে পাওয়া আইনি অধিকারের জন্য কোনও চুক্তির দরকার হয় না । এছাড়া উত্তরাধিকারী হওয়ার একমাত্র অন্য পদ্ধতি হ'ল দত্তক নেওয়া । আইনিভাবে কাউকে দত্তক নেওয়া হলে তিনিও দত্তক নেওয়া পিতার সম্পত্তিতে আইনি অধিকার পান ।

পরিবারের বয়জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং তিন প্রজন্ম সম্পত্তির আইনি উত্তরাধিকারী হন । 2005 সালের আগে এই আইনে কোনও ব্যাক্তির শুধুমাত্র পুত্র, নাতি এবং অবিবাহিত নাতনিরা উত্তাধিকার দাবি করতে পারতেন । বিবাহিত কন্যা হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও উত্তরাধিকারি হতে পারতেন না। তবে 2005 সালে, প্রতিটি বিবাহিত কন্যাকে পুত্রের হিসাবে সমান অধিকার, দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছিল ।

আইনি উত্তরাধিকারীর কী কী অধিকার থাকে ?

পৈতৃক সম্পত্তিতে আইনি অধিকার ছাড়াও আইনি উত্তরাধিকারীরা পৈতৃক সম্পত্তির বিভাজনের দাবিতে মামলা করতে পারেন । আইনি উত্তরাধিকারি হিসেবে কন্যারাও এখন তার পিতার সম্পত্তি ভাগ করার দাবি জানাতে পারে যা 2005 সালেরএর আগে অনুমোদিত ছিল না।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে কী কী অন্তর্ভুক্ত থাকে?

পৈতৃক এবং স্ব-অর্জিত সম্পত্তি উভয়ই নিজস্ব সম্পত্তি হতে পারে। পৈতৃক সম্পত্তির ক্ষেত্রে, আইনি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হয়, স্ব-অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে, ব্যক্তি নিজের ইচ্ছানুযায়ী সম্পত্তি পরিচালনা করতে পারে ।

যদি কোনও পিতা উইল না করেও মারা যায় তবে পিতৃপুরুষ এবং স্ব-অধিগৃহিত উভয় সম্পত্তিতেই কন্যার সমান অধিকার থাকবে ।

2005 সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে কী কী সংশোধনী আনা হয়েছিল ?

2005 সালের আগে, কন্যাদের বিবাহের পর সে তার পিতার অবিভক্ত পরিবারের সদস্য থাকতে পারত না, এবং তার কোনও সহজাত অধিকার থাকত না । 9 সেপ্টেম্বর 2005-এ, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, 1956 সংশোধন করা হয়েছিল । হিন্দু উত্তরাধিকার সংশোধন আইন, 2005 অনুসারে, প্রতিটি কন্যা, বিবাহিত বা অবিবাহিত, সে তার পিতার অবিভক্ত পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবে এবং তাকে তার পিতার অবিভক্ত পরিবারের সম্পত্তির কর্তা (প্রধান পরিচালক) হিসাবেও নিয়োগ করা যেতে পারে। সংশোধনীতে কন্যাদের একই অধিকার, কর্তব্য, দায়বদ্ধতার অনুমতি দেয় যা আগে শুধু পুত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল ।

এর অর্থ পৈতৃক সম্পত্তি এবং অন্য অধিকারের পাশাপাশি কন্যারা পিতার ঋণ ও সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য় দায়বদ্ধ থাকবে।

11 অগাস্ট, 2020-র সুপ্রিম কোর্টের রায় কী বলছে ?

2005 সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের সংশোধনী কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিল যেখানে 9 সেপ্টেম্বর 2005 বা তার পরে পিতা বেঁচে ছিল । কোনও পিতা যদি 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বরের আগে মারা গিয়ে থাকে তাহলে এই সংশোধনীর কোনও সুবিধা সে পাবে না । অর্থাৎ পৈতৃক সম্পত্তিতে তার কোনও অধিকার থাকবে না ।

এছাড়াও, শীর্ষ আদালতের পূর্বের রায়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল । 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বরের আগে জন্মানো কন্যারা পিতার সম্পত্তির অধিকার পাবে কি না তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ।

মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, যেহেতু আইনি উত্তরাধিকার জন্মগতভাবে হয়, কন্যার উত্তরাধিকার দাবির জন্য পিতার 2005 সালের 9 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেঁচে থাকা বাধ্যতামূলক নয় । এছাড়াও,2005 সালের 9 সেপ্টেম্বর আইন কার্যকর হওয়ার আগে জন্মানো কন্যারাও পিতার সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারবে ।

কোন কোন ক্ষেত্রে কন্যার আইনি অধিকার হ্রাস করা হবে ?

2005 সংশোধনী আইন অনুযায়ী, কন্যার উত্তরাধিকার কেবল তখনই কার্যকর হবে না, যদি 2004 সালের 20 ডিসেম্বরের আগে পিতার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে গিয়ে থাকে । অর্থাৎ সেই সময় যদি সম্পত্তির অধিকার নিয়ে কোনও নিষ্পত্তি হয়ে থাকে, তবে কন্যারা বর্তমান উত্তরাধিকারীদের কোনও প্রশ্ন করতে পারবে না ।।

(ইটিভি ভারত রিপোর্ট)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.