নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের আকাশ থেকে উৎক্ষেপণের সংস্করণটি হেলিনা ৷ বর্তমানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই হেলিনার নামকরণ করেছেন ধ্রুবাস্ত্র ৷ ভারতীয় বায়ু সেনার জন্য় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) ৷ হেলিকপ্টার থেকে ধ্রুবাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে ধ্বংস করে দেওয়া যায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, সামরিক পরিকাঠামো ৷
এ বছরের 15 ও 16 জুলাই ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারত ৷ এই দু'দিন ধ্রুবাস্ত্রের ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ৷ চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের তিন নম্বর লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এটি ৷
DRDO-র মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র বায়ুসেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে ৷ তৃতীয় প্রজন্মের এই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র শক্তিশালী মিজ়াইলগুলির মধ্যে একটি ৷
ধ্রুবাস্ত্রের ইতিহাস
এই ধ্রুবাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যাবে হ্যাল রুদ্র হেলিকপ্টার ও হ্যাল লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারগুলি থেকে ৷ সঠিক লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংসের জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে লক-অন-বিফোর-লঞ্চ সুবিধা ৷ প্রথম ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ পরীক্ষার সময় দেখা হয়, নিক্ষেপের পর লক-অন সুবিধা কাজ করছে কি না ৷ একটি লক্ষ্যবস্তু সেট করে নিক্ষেপের পর লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করে নতুন করে সেট করা হয় ৷ সেটিও ধ্বংস করেছিল ধ্রুবাস্ত্র ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে উপর থেকে আক্রমণ ও সোজাসুজি আক্রমণ করার ক্ষমতা রয়েছে ৷
2015 সালের জুলাই মাসে রাজস্থানের জয়সলমেরের চন্দন রেঞ্জ থেকে তিনটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় ৷ এই পরীক্ষাগুলি হ্যাল রুদ্র হেলিকপ্টার থেকে করা হয়েছিল ৷ সাত কিলোমিটার দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিল দু'বার ৷ তবে, একবার এটি লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারেনি ৷
2018 সালে পোখরান টেস্ট রেঞ্জে একটি হ্যাল লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার থেকে সফল পরীক্ষা করে হেলিনা ৷ 2019 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ধ্রুবাস্ত্রের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ও গতি দেখার জন্য ফের পরীক্ষা করে ভারতীয় সেনা ও DRDO ৷
এবছর জুলাই মাসে ফের আক্রমণের ক্ষমতা পরীক্ষা করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৷ উপর থেকে আক্রমণ ও সোজাসুজি আক্রমণ উভয়তেই সফল হয় ধ্রুবাস্ত্র ৷ এই পরীক্ষাটি হেলিকপ্টার ছাড়াই করা হয় ৷