দিল্লি, 26 জুন : মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রায় ছেদ টেনেছে কোরোনা ৷ এর ভয়াবাহতার কাছে হার মেনে গৃহবন্দী বহু মানুষ ৷ অনেকের মতে, সেই কারণে বেড়েছে আত্মহত্যার সংখ্যাও ৷ তবে , প্রত্যেকটি ঘটনার কিছু ভালো দিক আর কিছু খারাপ দিক আছে ৷ শত খারাপের মধ্যেও কোরোনার ভালো দিকটা ধরা পড়ল সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কিত সুপ্রিম কোর্ট কমিটির দেওয়া একটি তথ্যে ৷ এই তথ্যে দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, লকডাউন চলাকালীন অর্থাৎ 24 মার্চ থেকে 31 মে অবধি দেশে পথ দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যেুর সংখ্যা কমে 62% হয়েছে ৷
দেশের , 24টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আগের বছরের মার্চ এবং মে মাসের পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিসংখ্যানের সঙ্গে চলতি বছরের মার্চ এবং মে মাসের পরিসংখ্যান তুলনা করলে দেখা যাবে যে, 8,976 জনের কম মৃত্যু হয়েছে ৷ পাশাপাশি কমেছে সরাসরি গাড়ি সংঘর্ষের ঘটনাও ৷ এখন তা দাঁড়িয়েছে প্রায় 25000 এরও কমে ৷
(সুপ্রিম কোর্টের তথ্যানুসারে) | 24 মার্চ -31 মে 2019 | 24 মার্চ -31 মে 2020 | শতকরা মৃতের হার কমেছে |
মোট মৃতের সংখ্যা | 37,018 | 11,645 | 68% |
দুর্ঘটনায় মারা গেছেন | 14,385 | 5,409 | 62.40% |
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন | 36,453 | 9,667 | 72.70% |
রাজ্যগুলির মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কিত সুপ্রিম কোর্ট কমিটির দেওয়া তথ্যটির প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ৷ তবে, দুর্ভাগ্যবশত কোরোনার কবলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যটিতেই ৷ আগের বছরের তুলনায় মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পথদুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কমে হয়েছে 1,632 ৷ রাজস্থান (1,171), গুজরাত (900), বিহার (898) এবং তেলাঙ্গানা (604) তালিকাটিতে রয়েছে দ্বিতীয়, তৃতীয় ,পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে ৷ তথ্য বলছে চণ্ডীগড়, দমন এবং দিউতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নেই ৷
রাজ্যগুলির মধ্যে শতকরা হিসেবে মৃতের সংখ্যা কমেছে উত্তরাখণ্ডে সবচেয়ে বেশি (-90%) ৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরালা (88.97%) ৷ তবে, উত্তরপ্দেশ , তামিলনাড়ু , কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশ এখনও তাদের পরিসংখ্যান জমা দেয়নি ৷ জমা দেয়নি দিল্লিও ৷ পরিসংখ্যান বলছে পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া, ত্রিপুরা , পদুচেরি এবং লাদাখে পথ দুর্ঘটনা হলেও তা সংখ্যায় অনেক কম ৷