পটনা, 19নভেম্বর : তিন বছরের পুরানো দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তকে মন্ত্রিত্ব পদ দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমারের মন্ত্রীসভার মন্ত্রী৷ চতুর্থ দফায় সরকার গঠনের পরই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেভালাল চৌধুরির৷ তিন দিন আগেই 14 সদস্যকে নিয়ে শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী পদের দায়িত্ব পালন করবেন অশোক চৌধুরি৷
2017 সালে বিহারের তারাপুরের JDU সাংসদ ছিলেন মেভালাল চৌধুরি৷ সাংসদ থাকাকালীন ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক ও উপাচার্য নিয়োগে অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয় তৎকালীন বিরোধীদল BJP৷ তখন সাময়িকভাবে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে৷ অবশেষে বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-র অনুমোদনের পর অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ শুরু হয় তদন্ত৷ তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট দায়ের করা হয়নি৷
চার্জশিট দায়ের না হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মেভালাল চৌধুরি বলেন কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মানেই সেই ব্যক্তি অপরাধী নন৷ "অনেক বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে৷" তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হলফনামায় এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি৷ যেহেতু "তদন্ত এখনও চলছে৷"তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় তিনি অপরাধী নন ৷ পাশাপাশি অভিযোগকারী RJD নেতা তেজস্বী যাদবকেও আক্রমণ করেন মেভালাল চৌধুরি৷ তিনি বলেন, তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে৷ তাঁর উচিৎ নয় অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা৷
সম্প্রতি একাধিক টুইট করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেছেন তেজস্বী যাদব৷ টুইটে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে শক্তি ধরে রাখার জন্য "অপরাধীদের" নিয়োগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি আরও লেখেন,"অপরাধীদের সুরক্ষা দিচ্ছে ক্ষমতা...মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মেভালাল চৌধুরিকে নিয়োগ করে লুটপাট ও ডাকাতিতে ছাড় দিয়েছেন৷ টুইটে তিনি আরও লেখেন, "নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রীর আসন বাঁচানোর জন্য অপরাধ, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন ৷ অথচ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে কাউকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি৷"