ETV Bharat / bharat

আন্নিকৃষ্ণন দাবা খেলে ও খেলিয়ে বাঁচিয়ে দিল গ্রামকে !

সবাই বলত মাতাল আর জুয়াড়িদের গ্রাম ৷ আজ ঘরে ঘরে দাবা খেলা হয় সেখানেই ৷ ক্লাবে, দোকানে, মাঠেঘাটে অবধি ৷ আর ওই একজন মানুষ, যিনি বদলে দিলেন সব, তাঁর নাম হল আন্নিকৃষ্ণন ৷

Annikrishnan saved his village by playing chess!
Annikrishnan saved his village by playing chess!
author img

By

Published : Oct 14, 2020, 7:00 AM IST

বদনাম হয়ে যাচ্ছিল ৷ সবাই বলত মাতাল আর জুয়াড়িদের গ্রাম ৷ একজন মানুষ, একাই বদলে দিলেন সব ! উত্তর কেরালার "মাতাল গ্রাম" মারোত্তিচাল দিনে দিনে "দাবা গ্রাম" হিসেবে বিখ্যাত হয়ে গেল ! আজ ঘরে ঘরে দাবা খেলা হয় সেখানে ৷ ক্লাবে, দোকানে, মাঠেঘাটে অবধি ৷ আর ওই একজন মানুষ, যিনি বদলে দিলেন সব, তাঁর নাম হল আন্নিকৃষ্ণন ৷

যুবক আন্নিকৃষ্ণন যখন নিজের গ্রাম ছেড়ে অল্প দূরের ছোটো শহর কল্লুরে থাকতেন তখন মারোত্তিচাল নেশাড়ুদের গ্রাম বলেই পরিচিত ৷ কিন্তু নিঃশব্দ বিপ্লব শুরু হল ৷ যেহেতু কল্লুরে থাকাকালীন দাবা শিখলেন আন্নিকৃষ্ণন ৷ কম বয়স থেকেই দাবার ভক্ত মানুষটা ৷ কিংবদন্তি ববি ফিশারের ভক্ত ৷ কেবল দাবা শিখবেন বলেই গ্রাম ছেড়ে কল্লুরে থাকা ! যদিও আর কেউ জানত আন্নিকৃষ্ণনের গোপন সংকল্প !

দাবায় রীতিমতো সড়গড় হয়ে একদিন গ্রামে ফিরে এলেন আন্নিকৃষ্ণন ৷ এসে বাড়ির কাছে একটা চায়ের দোকান খোলেন ৷ স্থানীয়রা যখন সেই চায়ের দোকানে আসতেন, চায়ে চুমুক দিতেন, তখন দাবা খেলা বিষয়ে নানা মজার গল্প করতেন যুবক আন্নিকৃষ্ণন ৷ এইভাবেই গ্রামবাসীদের অজান্তে তাঁদের দাবা খেলাটা সম্পর্ক ধারণা দিতে থাকেন আন্নিকৃষ্ণন ৷ যদিও শুরুতে চায়ের দোকানি যুবকের কথায় খুব একটা পাত্তা দেয়নি স্থানীয়রা ৷ কিন্তু হাল ছাড়েননি যুবক ৷ হাতেনাতে তার ফলও মেলে ৷ ধীর ধীরে দু'চার জন যুবক আগ্রহী হয় ৷ এরপর চেন রিয়েকশন- ওই কয়েকজন থেকে গোটা গ্রাম মেতে ওঠে দাবা খেলায় ৷ আন্নিকৃষ্ণন তাঁর গ্রামের প্রায় সাতশো জনকে দাবা খেলার প্রশিক্ষণ দেন ৷ এবং ম্যাজিক ঘটে যায় !

এককালে যাঁরা মদ না খেয়ে, জুয়া না খেলে থাকতে পারতেন না, তাঁরা ওসব ছেড়েছুড়ে দেন ৷ এবার মানুষগুলো দাবা না খেলে থাকতে পারেন না ৷ একেই কি বলে 'দাবা'নল ! আন্নিকৃষ্ণনের উৎসাহে গ্রামের যুবক-যুবতিরা তো বটেই, এমনকী বয়স্ক পুরুষ, মহিলারা পর্যন্ত পাকা দাবা খেলোয়াড় হয়ে ওঠে ৷

চায়ের দোকান নেই, "বিপ্লবী" আন্নিকৃষ্ণন বর্তমানে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছেন গ্রামে ৷ যেখানে চা-কফি, টুকটাক খাবার পাওয়া যায় ৷ এবং যে কোনও সময় রাজা-মন্ত্রী-হাতি-ঘোড়া সাজিয়ে বসে পড়া যায় ! বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যে জুয়া-মদ হাওয়া হয়েছে মারোত্তিচাল থেকে ৷ ছয় হাজার জনবসতির গ্রাম আজ রাজায় রাজায় যুদ্ধে আগ্রহী বেশি ৷ কেরালার দাবা গ্রামের এটাই যে বিনোদনের প্রধানতম মাধ্যম ৷

বললে বিশ্বাস হবে না, তবু সত্যি, আন্নিকৃষ্ণনের গ্রামের মানুষ আজ টিভি পর্যন্ত দেখেন না ৷ তাঁরা সময় নষ্ট করতে রাজি না ৷ ওই সময় এক দান দাবা খেলে নেওয়া যায় যে !

বদনাম হয়ে যাচ্ছিল ৷ সবাই বলত মাতাল আর জুয়াড়িদের গ্রাম ৷ একজন মানুষ, একাই বদলে দিলেন সব ! উত্তর কেরালার "মাতাল গ্রাম" মারোত্তিচাল দিনে দিনে "দাবা গ্রাম" হিসেবে বিখ্যাত হয়ে গেল ! আজ ঘরে ঘরে দাবা খেলা হয় সেখানে ৷ ক্লাবে, দোকানে, মাঠেঘাটে অবধি ৷ আর ওই একজন মানুষ, যিনি বদলে দিলেন সব, তাঁর নাম হল আন্নিকৃষ্ণন ৷

যুবক আন্নিকৃষ্ণন যখন নিজের গ্রাম ছেড়ে অল্প দূরের ছোটো শহর কল্লুরে থাকতেন তখন মারোত্তিচাল নেশাড়ুদের গ্রাম বলেই পরিচিত ৷ কিন্তু নিঃশব্দ বিপ্লব শুরু হল ৷ যেহেতু কল্লুরে থাকাকালীন দাবা শিখলেন আন্নিকৃষ্ণন ৷ কম বয়স থেকেই দাবার ভক্ত মানুষটা ৷ কিংবদন্তি ববি ফিশারের ভক্ত ৷ কেবল দাবা শিখবেন বলেই গ্রাম ছেড়ে কল্লুরে থাকা ! যদিও আর কেউ জানত আন্নিকৃষ্ণনের গোপন সংকল্প !

দাবায় রীতিমতো সড়গড় হয়ে একদিন গ্রামে ফিরে এলেন আন্নিকৃষ্ণন ৷ এসে বাড়ির কাছে একটা চায়ের দোকান খোলেন ৷ স্থানীয়রা যখন সেই চায়ের দোকানে আসতেন, চায়ে চুমুক দিতেন, তখন দাবা খেলা বিষয়ে নানা মজার গল্প করতেন যুবক আন্নিকৃষ্ণন ৷ এইভাবেই গ্রামবাসীদের অজান্তে তাঁদের দাবা খেলাটা সম্পর্ক ধারণা দিতে থাকেন আন্নিকৃষ্ণন ৷ যদিও শুরুতে চায়ের দোকানি যুবকের কথায় খুব একটা পাত্তা দেয়নি স্থানীয়রা ৷ কিন্তু হাল ছাড়েননি যুবক ৷ হাতেনাতে তার ফলও মেলে ৷ ধীর ধীরে দু'চার জন যুবক আগ্রহী হয় ৷ এরপর চেন রিয়েকশন- ওই কয়েকজন থেকে গোটা গ্রাম মেতে ওঠে দাবা খেলায় ৷ আন্নিকৃষ্ণন তাঁর গ্রামের প্রায় সাতশো জনকে দাবা খেলার প্রশিক্ষণ দেন ৷ এবং ম্যাজিক ঘটে যায় !

এককালে যাঁরা মদ না খেয়ে, জুয়া না খেলে থাকতে পারতেন না, তাঁরা ওসব ছেড়েছুড়ে দেন ৷ এবার মানুষগুলো দাবা না খেলে থাকতে পারেন না ৷ একেই কি বলে 'দাবা'নল ! আন্নিকৃষ্ণনের উৎসাহে গ্রামের যুবক-যুবতিরা তো বটেই, এমনকী বয়স্ক পুরুষ, মহিলারা পর্যন্ত পাকা দাবা খেলোয়াড় হয়ে ওঠে ৷

চায়ের দোকান নেই, "বিপ্লবী" আন্নিকৃষ্ণন বর্তমানে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছেন গ্রামে ৷ যেখানে চা-কফি, টুকটাক খাবার পাওয়া যায় ৷ এবং যে কোনও সময় রাজা-মন্ত্রী-হাতি-ঘোড়া সাজিয়ে বসে পড়া যায় ! বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যে জুয়া-মদ হাওয়া হয়েছে মারোত্তিচাল থেকে ৷ ছয় হাজার জনবসতির গ্রাম আজ রাজায় রাজায় যুদ্ধে আগ্রহী বেশি ৷ কেরালার দাবা গ্রামের এটাই যে বিনোদনের প্রধানতম মাধ্যম ৷

বললে বিশ্বাস হবে না, তবু সত্যি, আন্নিকৃষ্ণনের গ্রামের মানুষ আজ টিভি পর্যন্ত দেখেন না ৷ তাঁরা সময় নষ্ট করতে রাজি না ৷ ওই সময় এক দান দাবা খেলে নেওয়া যায় যে !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.