পুনে (মহারাষ্ট্র ), 29 ডিসেম্বর : আগেই কৃষি আইন, 2020, কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে সরব হয়েছিলেন আন্না হাজারে ৷ কৃষকদের সমর্থনে তাঁর দাবি, যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কথার সঙ্গে বাস্তব সংগতিপূর্ণ না হয় তাহলে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি ৷ এরপরই জানুয়ারি থেকে কৃষকদের সমর্থনে দিল্লিতে অনশনে বসার ডাক দিলেন এই সমাজসেবী ৷ সোমবার সাংবাদিকদের তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি ৷ গতকাল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার রালেগাঁও সিদ্দিকি গ্রামের থেকে এক বার্তায় তিনি জানান, জানুয়ারিতে দিল্লিতে ফের অনশনে বসতে চলেছেন তিনি ৷
"কৃষক বিরোধী" আইন নিয়ে যখন তোলপাড় রাজধানী, শৈত্য প্রবাহের মধ্যে বিক্ষোভ, ধরনা প্রদর্শন করছেন কৃষকরা সেই সময় 15 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে কৃষকদের সমর্থনে লেখা চিঠিতে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আন্না হাজারে ৷ চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, কৃষকদের স্বার্থে তাঁর দাবিগুলি যদি ফলপ্রসু না হয় তাহলে তিনি অনশনে বসবেন ৷ পাশাপাশি এমএস স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের দাবিও জানান তিনি ৷
আরও পড়ুন : দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আন্দোলনকারী আরও এক কৃষকের মৃত্যু
কৃষিমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠির পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্র বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হরিভাউ বাগদে ৷ বৈঠকে তিনটি কৃষি আইন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন হাজারেকে ৷
আন্না বলেন, সরকার যদি এমএস স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়ন করে তাহলে দেশজুড়ে কৃষকদের আত্মহত্যায় লাগাম টানা যাবে ৷ তিনি দাবি জানান, শাক-সবজি, ফল, দুধে মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (এমএসপি) নির্ধারিত করতে হবে ৷ যদিও জানুয়ারির কোন তারিখ থেকে আন্না হাজারে বসছেন অনশনে সেবিষয়ে পরিষ্কার কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি ৷
আরও পড়ুন :কৃষকদের সমর্থনে অনশনের হুঁশিয়ারি আন্না হাজারের
আজ 33 দিনে পা দিল দিল্লির কৃষক আন্দোলন ৷ একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা ৷ ইতিমধ্যেই একাধিক কৃষকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ৷ কৃষকদের আন্দোলনে আমল দিচ্ছে না কেন্দ্রের সরকার ৷ বিরোধীরা বারে বারে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন ৷ কেন্দ্রীয় সরকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের বাড়িতে এসে রাজনীতি করছেন অমিত, অথচ দেশের কৃষকেরা দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন বলে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷