জয়পুর, ৬ মার্চ: সেনারা আমাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। সেনাবাহিনীর সেই বীরত্বে যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়, সেজন্য উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের বীরত্ব ও দেশপ্রেমের কাহিনী দশম শ্রেণির পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজস্থান সরকার। আজ একথা জানান রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং দোতাসরা।
সোমবার শিক্ষামন্ত্রী দোতাসরা টুইটে লেখেন, "অভিনন্দনকে সম্মান জানানোর জন্য তাঁর বীরত্বের কাহিনী স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে।" পরে তিনি ফেসবুকেও একই পোস্ট করেন। কিন্তু, কোন শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অভিনন্দনের কাহিনী রাখা হবে, সেবিষয়ে মন্ত্রী কিছু জানাননি। এর আগে তিনি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় CRPF জওয়ানদের শহিদ হওয়ার ঘটনাটিও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা কমিটির পক্ষ থেকে তাঁর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে জইশের তিনটি ট্রেনিং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সেগুলি ধ্বংস করে ভারতের বায়ুসেনা। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি বায়ুসেনার একটি F-১৬ যুদ্ধবিমান। সেটিকে পালটা তাড়া করে ধ্বংস করে ভারতের MiG-২১ বাইসন বিমান। বিমানটি চালাচ্ছিলেন অভিনন্দন। তবে পাকিস্তানের বিমানের সঙ্গে "ডগফাইট" করার সময় অভিনন্দনের বিমানটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর অভিনন্দন প্যারাসুটে বিমান থেকে ঝাঁপ দেন এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে পড়েন। সেখানে পাকিস্তানের সেনা তাঁকে নিজেদের হেপাজতে নেয়। পাক সেনার হেপাজতে অভিনন্দনকে জেরার ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শত্রু সেনার হেপাজতে জেরার সময় অভিনন্দন যথেষ্ট সাহস, বুদ্ধি ও আত্মসম্মানের পরিচয় দিয়েছেন। অবশেষে ১ মার্চ ভারত সহ আন্তর্জাতিক মহলের কূটনেতিক চাপে অভিনন্দনকে ফেরাতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।