দিল্লি, 11 অগাস্ট : বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে মহারাষ্ট্র , কেরালা ও কর্নাটকে ৷ গত এক সপ্তাহে বন্যায় ওই তিন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা 100-রও বেশি ৷ ঘর ছাড়া হয়েছেন প্রায় কয়েক লাখ মানুষ ৷ টানা বৃষ্টি ও ধসে কেরালায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৮। ত্রাণশিবিরে রয়েছেন ২.৬১ লাখ মানুষ। কেরালার বন্যা ও ধসে শুধুমাত্র মালাপ্পুরমে ১৮ জন, কোঝিকোড়েতে ১৫ জন ও ওয়ানাডে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ধসের কারণে উদ্ধারের কাজ থমকে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টি কিছুটা কমলেও প্রবল ঝুঁকির মুখে রয়েছে ওয়ানাড, কন্নুর ও কাসারগোড়।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সেনা ডেকেছেন ৷ গতকাল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, কর্নাটকে বন্যার জন্য প্রায় 2 লাখ দুর্গতকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 30 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ মহারাষ্ট্রেও মৃতের সংখ্যা প্রায় 30 ৷ 6 দিন ধরে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে উদ্ধারকাজ চলছে ৷
- গতকাল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত 100টি গ্রাম ও 17টি জেলা বন্যায় বিপর্যস্ত ৷ প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর কর্নাটকে 6 হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে ৷
- আজ সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কর্নাটকে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি হেলিকপ্টারে চেপে কর্নাটকের বেলাগাভি জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ৷ কর্নাটকের এই জেলা বন্যায় সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷
এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : কেরালায় মৃত বেড়ে 42, বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কর্নাটকে নির্মলা
- ভারী বৃষ্টিতে 15 অগাস্ট পর্যন্ত কর্নাটকে স্কুল, কলেজ ও সমস্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে ৷ বিপর্যস্ত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা ৷ কর্নাটকের কারওয়ার এলাকায় ধস নামায় গতকাল কনকান লাইনের রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷
- আজ দুপুর 12টার পর থেকে কেরালার কোচি বিমানবন্দরে স্বাভাবিক হতে পারে বিমান পরিষেবা ৷ বিগত তিনদিনে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 60 ৷ 1 লাখ 66 হাজার দুর্গতকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গতবছর কেরালায় শতাব্দীর সবচেয়ে বিধ্বংসী বন্যা হয়েছিল ৷ কেরালার তিনটি জেলায় (ওয়ানাদ, কান্নুর ও কাসারগোদ) রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ৷ 6 জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে ৷
- আজ নিজের লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাদে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷ বিগত তিনদিনে ধসের জেরে ওয়ানাদ ও মালাপ্পুরামে অনেক মানুষ আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷
এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ; জটিল 3 রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি
- মহারাষ্ট্রে প্রায় চার লাখের বেশি মানুষ বাসস্থান ছাড়া হয়েছেন ৷ সূত্রের খবর, কর্নাটকের কৃষ্ণা নদীর আলমাটি বাঁধ থেকে পাঁচ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷ ফলে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
- গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, "প্রয়োজনের দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে ৷ 2005 সালে মহারাষ্ট্র ব্যাপক বন্যার সাক্ষী ছিল ৷ "
- মুম্বই-বেঙ্গালুরুর 4 নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ ৷ মুম্বই থেকে যে গাড়িগুলি কর্নাটকে যাচ্ছে সেগুলিকে সোলাপুর রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷