নয়াদিল্লি, 4 এপ্রিল : নন্দীগ্রামে বয়ালের বুথে বসে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যে অভিযোগ করেছিলেন তার জন্য় তাঁকে আজ ভর্ৎসনা করল নির্বাচন কমিশন ৷ মনে করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থাও নিতে পারে কমিশন ৷
কী হয়েছিল
নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের দিন প্রায় বেলা 1টা নাগাদ বয়ালের বুথে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই বুথে প্রায় 80 শতাংশ ছাপ্পা দেওয়া হচ্ছে ৷ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ ছিল, অমিত শাহের কথামতো নির্বাচন কমিশন রাজ্য়ের পুলিশ অফিসারদের বদলি করে দিচ্ছে ৷
এরপরেই পুরো বিষয়টি জানিয়ে কমিশনকে একটি হাতে লেখা চিঠি দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ যদিও সেই অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন ৷ পাশাপাশি কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যে অভিযোগ করেছেন তার বেশ কিছু অংশের তথ্য় ভুল ৷ এবং অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য় ৷ মনে করিয় দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণ বিধির বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী মমতার বিরুদ্ধেও ব্য়বস্থা নিতে পারে কমিশন ৷
আরও পড়ুন- ‘‘নির্বাচন কমিশন বিজেপির দালালি করছে,’’ বিস্ফোরক মমতা
কমিশন তার চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ওই বুথে কোনও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। বা বুথ দখলের ঘটনাও ঘটেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যে দু'ঘণ্টা বসে থেকে বাধা সৃষ্টি করেছেন তার নিন্দা করেছে কমিশন। কমিশনের পক্স্পষ থেকে ষ্ট ভাষায় এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও নাগরিক যদি স্ব-ইচ্ছায় ভোট দিতে না যান বা নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে বসতে না চান তাঁকে নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবে বসানো কমিশনের দায়িত্ব হতে পারে না।
তবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বেশ কয়েকটি প্রচার সভায় বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্য়বস্থা নিলে নিতে পারে কমিশন ৷ এতে তাঁর কিছু যায় আসে না ৷
এবিষয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, "নাগরিকের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজই করার চেষ্টা করেছিলেন। যে মানুষগুলো প্রকাশ্যে বলছেন ভোট দিতে পারছেন না, তাঁদের এই অভিযোগকে উপেক্ষা করে কমিশনের বক্তব্য দুঃখজনক। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা শুভ লক্ষণ নয়"