ETV Bharat / bharat

Prophet Remarks Row: 'পয়গম্বর জীবিত থাকলে ধর্মান্ধদের তাণ্ডবে হতবাক হয়ে যেতেন', টুইটে তোপ তসলিমার

ভারতের পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Remarks Row) প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)৷ বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকার বক্তব্য, "আজ যদি পয়গম্বর মহম্মদ জীবিত থাকতেন, তাহলে সারা বিশ্বে ধর্মান্ধ মুসলিমদের পাগলামি দেখে তিনি নিজেও হতভম্ব হয়ে যেতেন ৷"

bangladeshi writer Taslima Nasreen comments on Prophet Remarks Row in india
Prophet Remarks Row: "পয়গম্বর জীবিত থাকলে ধর্মান্ধদের তাণ্ডবে হতবাক হয়ে যেতেন", টুইটে তোপ তসলিমার
author img

By

Published : Jun 11, 2022, 6:19 PM IST

কলকাতা, 11 জুন: পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Remarks Row) এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)৷ শনিবার এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন তিনি ৷ লেখেন, "আজ যদি পয়গম্বর মহম্মদ জীবিত থাকতেন, তাহলে সারা বিশ্বে ধর্মান্ধ মুসলিমদের পাগলামি দেখে তিনিও হতভম্ব হয়ে যেতেন ৷" এর আগে শুক্রবার রাতেও একটি টুইট করেছেন তসলিমা ৷ সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, "বুধবার করাচির কোরাঙ্গি এলাকায় শ্রী মারি মাতার মন্দিরের বিগ্রহ ভাঙচুর করা হয়েছে ৷ শুধুমাত্র পাকিস্তানে নয়, বাংলাদেশেও অসহিষ্ণুতা বাড়ছে ৷ মুসলিমদের অমুসলিমদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা শিখতে হবে এবং তাঁদের মানুষ হিসাবে সম্মান দিতে হবে ৷"

প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর সংক্রান্ত মন্তব্যের পর থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই প্রতিবাদ ঘিরে ছড়িয়েছে অশান্তি ৷ পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ এমন একটা প্রেক্ষাপটে তসলিমার এই দু'টি টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷

  • Even if prophet Muhammad was alive today, he would have been shocked to see the madness of the Muslim fanatics around the world.

    — taslima nasreen (@taslimanasreen) June 10, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মবলম্বীদের মধ্য়ে যাঁরা চরমপন্থার পক্ষপাতী, তাঁদের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব থেকেছেন তসলিমা ৷ এমনকী, বহুবার তাঁর বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধী মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠেছে ৷ ইসলামের সমালোচনার জন্যই তাঁকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে ৷ এমনকী, পশ্চিমবঙ্গেও তাঁর পাকাপাকি ঠাঁই হয়নি ৷ তবুও, তসলিমা তাঁর অবস্থানে অনড় থেকেছেন ৷

  • The idols of deities at Shri Mari Maata Mandir in Karachi’s Korangi area were attacked on Wednesday. Not only in Pakistan, but intolerance is also growing in Bangladesh. Muslims must learn to live with non-Muslims and respect them as humans. https://t.co/SYuGSyCwkk

    — taslima nasreen (@taslimanasreen) June 10, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: Prophet Remarks Row: হাওড়ায় অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী! তোপ বিজেপি নেত্রীর

শুক্রবার রাতে তসলিমা যে টুইটটি করেন, তার সঙ্গে গত বছরের অক্টোবর মাসের এক প্রতিবেদন জুড়ে দিয়েছেন তিনি ৷ ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই খবর তসলিমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধরা কার্যত 'তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে' পরিণত হয়েছেন ৷ লেখিকার অভিযোগ, বাংলাদেশে হিন্দুবিরোধী হিংসা ক্রমশ বাড়ছে ৷ এমনকী, বাংলাদেশকে 'জিহাদিস্তান' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷ তসলিমার দাবি, শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের আমলে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলি কার্যত কট্টরপন্থীদের আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে ৷

ভারতে পয়গম্বর বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশেও নূপুরের মন্তব্যের বিরোধিতায় প্রতিবাদ, প্রদর্শন চলছে ৷ শুক্রবার ঢাকার রাজপথে বহু মানুষ প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন ৷ সেই মিছিল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও স্লোগান ওঠে ৷ এর পাশাপাশি, ভারতীয় পণ্য বয়কট এবং আগামী 16 জুন ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়েরও ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ তসলিমার বার্তা, বহু ক্ষেত্রেই আসল ঘটনা না জেনে অধিকাংশ মানুষ এই ধরনের কর্মসূচিতে সামিল হন ৷ এই ধরনের প্রতিবাদ ও হিংসার তীব্র বিরোধিতা করেছেন লেখিকা ৷

কলকাতা, 11 জুন: পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Remarks Row) এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)৷ শনিবার এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন তিনি ৷ লেখেন, "আজ যদি পয়গম্বর মহম্মদ জীবিত থাকতেন, তাহলে সারা বিশ্বে ধর্মান্ধ মুসলিমদের পাগলামি দেখে তিনিও হতভম্ব হয়ে যেতেন ৷" এর আগে শুক্রবার রাতেও একটি টুইট করেছেন তসলিমা ৷ সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, "বুধবার করাচির কোরাঙ্গি এলাকায় শ্রী মারি মাতার মন্দিরের বিগ্রহ ভাঙচুর করা হয়েছে ৷ শুধুমাত্র পাকিস্তানে নয়, বাংলাদেশেও অসহিষ্ণুতা বাড়ছে ৷ মুসলিমদের অমুসলিমদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা শিখতে হবে এবং তাঁদের মানুষ হিসাবে সম্মান দিতে হবে ৷"

প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর সংক্রান্ত মন্তব্যের পর থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই প্রতিবাদ ঘিরে ছড়িয়েছে অশান্তি ৷ পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ এমন একটা প্রেক্ষাপটে তসলিমার এই দু'টি টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷

  • Even if prophet Muhammad was alive today, he would have been shocked to see the madness of the Muslim fanatics around the world.

    — taslima nasreen (@taslimanasreen) June 10, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মবলম্বীদের মধ্য়ে যাঁরা চরমপন্থার পক্ষপাতী, তাঁদের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব থেকেছেন তসলিমা ৷ এমনকী, বহুবার তাঁর বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধী মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠেছে ৷ ইসলামের সমালোচনার জন্যই তাঁকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে ৷ এমনকী, পশ্চিমবঙ্গেও তাঁর পাকাপাকি ঠাঁই হয়নি ৷ তবুও, তসলিমা তাঁর অবস্থানে অনড় থেকেছেন ৷

  • The idols of deities at Shri Mari Maata Mandir in Karachi’s Korangi area were attacked on Wednesday. Not only in Pakistan, but intolerance is also growing in Bangladesh. Muslims must learn to live with non-Muslims and respect them as humans. https://t.co/SYuGSyCwkk

    — taslima nasreen (@taslimanasreen) June 10, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: Prophet Remarks Row: হাওড়ায় অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী! তোপ বিজেপি নেত্রীর

শুক্রবার রাতে তসলিমা যে টুইটটি করেন, তার সঙ্গে গত বছরের অক্টোবর মাসের এক প্রতিবেদন জুড়ে দিয়েছেন তিনি ৷ ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই খবর তসলিমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধরা কার্যত 'তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে' পরিণত হয়েছেন ৷ লেখিকার অভিযোগ, বাংলাদেশে হিন্দুবিরোধী হিংসা ক্রমশ বাড়ছে ৷ এমনকী, বাংলাদেশকে 'জিহাদিস্তান' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷ তসলিমার দাবি, শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের আমলে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলি কার্যত কট্টরপন্থীদের আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে ৷

ভারতে পয়গম্বর বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশেও নূপুরের মন্তব্যের বিরোধিতায় প্রতিবাদ, প্রদর্শন চলছে ৷ শুক্রবার ঢাকার রাজপথে বহু মানুষ প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন ৷ সেই মিছিল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও স্লোগান ওঠে ৷ এর পাশাপাশি, ভারতীয় পণ্য বয়কট এবং আগামী 16 জুন ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়েরও ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ তসলিমার বার্তা, বহু ক্ষেত্রেই আসল ঘটনা না জেনে অধিকাংশ মানুষ এই ধরনের কর্মসূচিতে সামিল হন ৷ এই ধরনের প্রতিবাদ ও হিংসার তীব্র বিরোধিতা করেছেন লেখিকা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.