ধানবাদ, 24 জানুয়ারি : কয়লা চোরা চালানের তদন্তে এসে আক্রমণের শিকার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৷ প্রতিবেশী রাজ্য ধানবাদে এ ঘটনা ঘটেছে (Dhanbad News) ৷ অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয় ৷ দলে থাকা এএসআই-সহ বাকি পুলিশ আধিকারিকরা পালিয়ে কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন ৷ খবর পেয়ে স্থানীয় গলফারবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত পর্যন্ত পুলিশের দলটিকে এগিয়ে দেয় ৷
সম্প্রতি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ বেআইনিভাবে আনা 32 ট্রাক কয়লা বাজেয়াপ্ত করে ৷ উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় চালক ও খালাসি-সহ ট্রাকের বাকি লোকজনদের আটক করে পুলিশ ৷ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে সব ট্রাকগুলি ধানবাদ থেকে বেআইনিভাবে কয়লা বোঝাই করে পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছিল ৷ মুগমার প্রভাত স্টেডিয়ামের কাছে দু'নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পড়ে থাকা ক্রাশারে চলমান অবৈধ ডিপো থেকে এই কয়লা লোড করা হয় বলে জানায় অভিযুক্তরা ৷ তারা এও জানায় যে, ডিপো অপারেটরের নাম আমান ৷
আরও পড়ুন : বেআইনি কয়লা পাচারের রমরমা আসানসোল জুড়ে
তদন্তে নেমে কুলটি থানার এএসআই প্রীতম পালের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দল গলফারবাড়ি থানার মুগমার উদ্দেশে রওনা দেয় ৷ এরপর প্রভাত স্টেডিয়ামের কাছে দু'নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত সেই বন্ধ ক্রাশারে পৌঁছয় ৷ ওই বেআইনি কয়লা ডিপোয় পুলিশ পৌঁছনোর খবর আগেই পেয়ে গিয়েছিল বেআইনি কয়লা কারবারিরা ৷ পুলিশের দলটিকে ঘেরাও করে ফেলে তারা ৷ বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায় ৷ এরপর আমান ও তার লোকজন মিলে পুলিশের উপর হামলা চালায় ৷ প্রাণে বাঁচতে পুলিশের দলটি দৌড়াতে থাকে ৷ মারধরের পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এমনকি পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে দেয় বলেও জানা গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এএসআই প্রীতম পাল-সহ চার জন পুলিশ কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন ৷
আরও পড়ুন : Coal theft in Durgapur : খনি আধিকারিক ও কয়লাচোর-সহ দুর্গাপুরে ধৃত 2
পরে আক্রান্ত পুলিশের দলটি গলফারবাড়ি থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানালে সেখানকার পুলিশ তদন্তের জন্য আমানের অবৈধ কয়লা ডিপোতে যায় ৷ তদন্ত শেষে গলফারবাড়ি থানার পুলিশ তাঁদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয় ৷
যদিও এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দিকে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে গলফারবাড়ি থানার পুলিশ ৷ কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি তাদের ৷ এই বিষয়ে গলফারবাড়ির ইনচার্জ সঞ্জয় ওঁরাও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের কুলটি পুলিশের সঙ্গে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি ৷ তবে তদন্ত করার আগে বিষয়টি আমাদের জানানো উচিত ছিল ৷ প্রথমে বিষয়টি আমাদের জানানো হলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সহযোগিতা করা হত ৷ কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি ৷"
আরও পড়ুন : Kulti Murder : সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন, কুলটি শুটআউটে স্বীকার স্ত্রীর