ETV Bharat / bharat

Asaduddin Owaisi: চিনা আগ্রাসন নিয়ে নীরব কেন মোদি, আলোচনা হোক সংসদে, দাবি তুললেন ওয়েইসি - Chinese Aggression

বিগত কয়েক বছর ধরেই ইন্দো-চিন সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে । লাদাখে একাধিক বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনা । এমনকি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা চিন দখল করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে । একই অভিযোগ অরুণাচল নিয়েও ।

Asaduddin Owaisi attacks Narendra Modi over Chinese aggression in borders demands parliament debate
সংসদে চিন এবং সীমান্ত নিয়ে আলোচনা চান ওয়েইসি
author img

By

Published : Nov 8, 2021, 2:26 PM IST

নয়াদিল্লি, 8 নভেম্বর: সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে কেন্দ্র । সেই অবস্থায় এবার সংসদে খোলাখুলি চিন নিয়ে আলোচনার দাবি তুললেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল আল মুসলমিন প্রধান তথা লোকসভার সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি । তাঁর দাবি, ক্ষমতায় আসার আগে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বললেও, এখন চিন নিয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এনিয়ে সংসদে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত ।

বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ তুলে এলেও, বরাবর চিনা আগ্রাসনে দেশের জমি হাতছাড়া হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে কেন্দ্র । কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের রিপোর্টে বলা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে (এলএসি) অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে আস্ত গ্রাম গড়ে তুলেছে চিন । তাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নতুন করে সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা । দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি উঠতে শুরু করেছে ।

আরও পড়ুন: Lakhimpur Kheri Case : অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তদারকিতে লখিমপুর-তদন্ত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

তাতেই এবার নয়া সংযোজন ওয়েইসি । রবিবার একের পর এক টুইটে সরসাররি মোদিকে আক্রমণ করেন ওয়েইসি । তিনি লেখেন, ‘‘2014-র আগে মোদি বলতেন, সীমান্তে কোনও সমস্যা নেই, সমস্যা আসলে দিল্লিতে ৷ তখনকার চেয়ে এখন আজকের দিনেই এই কথা সব থেকে বেশি প্রযোজ্য ৷ মুখ্যমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বলতেন ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি চিনের নাম পর্যন্ত মুখে আনেন না ৷ কী হল ? এত ইতস্তত কিসের ?’’

আসল সমস্যার দিকে না তাকিয়ে, বিভাজনের রাজনীতি করে সরকার দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওয়েইসি । তাঁর কথায়, ‘‘দুঃখের বিষয় হল, মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতি করে ভিতর থেকে ভারতীয়দের দুর্বল করে দিচ্ছে এই সরকার । আর এই অভ্যন্তরীণ বিভাজনই চিনের শক্তিবৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় নীতি নিয়ে সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা আবশ্যক । সব দলের সাংসদদের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে নিয়ে যেতে হবে, যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রয়েছে কি না জানা যায় এবং মানুষও তা জানতে পারেন ।’’

  • Sadly this govt is weakening us internally by polarising & dividing Indians. This divisiveness domestically has come at the cost of our relations in the neighbourhood where China has been making gains 3/n

    — Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) November 7, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: Padma Awards 2020 : গুণীজনদের হাতে পদ্ম সম্মান তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি

প্রয়োজনে সংসদে গোপন বৈঠকেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ওয়েইসি । তাঁর কথায়, ‘‘নীরবতা বজায় রাখা, বাস্তবকে অস্বীকার করা এবং বিভ্রান্তি বজায় রাখা, চিন প্রশ্নে যে কৌশল নিয়ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, তা আত্মপরাজয়ই । এতে একটাই বার্তা যায় যে, বেজিংয়ের সামনে আমরা দুর্বল । আমাদের সহযোগীদের কাছেও বার্তা যায় যে, সত্যের সম্মুখীন হওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের ।’’

  • THREAD We demand a full parliamentary debate on #China-India ties & the state of affairs on the border. An all party delegation of MPs should be taken to all the contentious border areas as well. This will allow us to reassert our sovereignty & keep the public informed 1/n

    — Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) November 7, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

বিগত কয়েক বছর ধরেই ইন্দো-চিন সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে । লাদাখে একাধিক বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনা । এমনকি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা চিন দখল করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে । একই পরিস্থিতি অরুণাচলেও । প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সেখানে চিন সাড়ে 4 কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছে এবং শতাধিক বেশি বাড়ি বানিয়ে আস্ত গ্রাম গড়ে তুলেছে বলে আমেরিকার রিপোর্টেই উঠে এসেছে । এতদিন কেন্দ্র চিনের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও, আমেরিকার রিপোর্ট তাদের প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।

নয়াদিল্লি, 8 নভেম্বর: সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে কেন্দ্র । সেই অবস্থায় এবার সংসদে খোলাখুলি চিন নিয়ে আলোচনার দাবি তুললেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল আল মুসলমিন প্রধান তথা লোকসভার সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি । তাঁর দাবি, ক্ষমতায় আসার আগে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বললেও, এখন চিন নিয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এনিয়ে সংসদে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত ।

বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ তুলে এলেও, বরাবর চিনা আগ্রাসনে দেশের জমি হাতছাড়া হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে কেন্দ্র । কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের রিপোর্টে বলা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে (এলএসি) অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে আস্ত গ্রাম গড়ে তুলেছে চিন । তাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নতুন করে সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা । দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি উঠতে শুরু করেছে ।

আরও পড়ুন: Lakhimpur Kheri Case : অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তদারকিতে লখিমপুর-তদন্ত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

তাতেই এবার নয়া সংযোজন ওয়েইসি । রবিবার একের পর এক টুইটে সরসাররি মোদিকে আক্রমণ করেন ওয়েইসি । তিনি লেখেন, ‘‘2014-র আগে মোদি বলতেন, সীমান্তে কোনও সমস্যা নেই, সমস্যা আসলে দিল্লিতে ৷ তখনকার চেয়ে এখন আজকের দিনেই এই কথা সব থেকে বেশি প্রযোজ্য ৷ মুখ্যমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বলতেন ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি চিনের নাম পর্যন্ত মুখে আনেন না ৷ কী হল ? এত ইতস্তত কিসের ?’’

আসল সমস্যার দিকে না তাকিয়ে, বিভাজনের রাজনীতি করে সরকার দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওয়েইসি । তাঁর কথায়, ‘‘দুঃখের বিষয় হল, মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতি করে ভিতর থেকে ভারতীয়দের দুর্বল করে দিচ্ছে এই সরকার । আর এই অভ্যন্তরীণ বিভাজনই চিনের শক্তিবৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় নীতি নিয়ে সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা আবশ্যক । সব দলের সাংসদদের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে নিয়ে যেতে হবে, যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রয়েছে কি না জানা যায় এবং মানুষও তা জানতে পারেন ।’’

  • Sadly this govt is weakening us internally by polarising & dividing Indians. This divisiveness domestically has come at the cost of our relations in the neighbourhood where China has been making gains 3/n

    — Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) November 7, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: Padma Awards 2020 : গুণীজনদের হাতে পদ্ম সম্মান তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি

প্রয়োজনে সংসদে গোপন বৈঠকেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ওয়েইসি । তাঁর কথায়, ‘‘নীরবতা বজায় রাখা, বাস্তবকে অস্বীকার করা এবং বিভ্রান্তি বজায় রাখা, চিন প্রশ্নে যে কৌশল নিয়ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, তা আত্মপরাজয়ই । এতে একটাই বার্তা যায় যে, বেজিংয়ের সামনে আমরা দুর্বল । আমাদের সহযোগীদের কাছেও বার্তা যায় যে, সত্যের সম্মুখীন হওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের ।’’

  • THREAD We demand a full parliamentary debate on #China-India ties & the state of affairs on the border. An all party delegation of MPs should be taken to all the contentious border areas as well. This will allow us to reassert our sovereignty & keep the public informed 1/n

    — Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) November 7, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

বিগত কয়েক বছর ধরেই ইন্দো-চিন সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে । লাদাখে একাধিক বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনা । এমনকি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা চিন দখল করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে । একই পরিস্থিতি অরুণাচলেও । প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সেখানে চিন সাড়ে 4 কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছে এবং শতাধিক বেশি বাড়ি বানিয়ে আস্ত গ্রাম গড়ে তুলেছে বলে আমেরিকার রিপোর্টেই উঠে এসেছে । এতদিন কেন্দ্র চিনের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও, আমেরিকার রিপোর্ট তাদের প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.