নয়াদিল্লি, 20 এপ্রিল: কোভিড মোকাবিলায় দিল্লিতে শুরু হয়েছে 6 দিনের লকডাউন ৷ তবে হাতজোড় করে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজধানী না-ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ আশ্বাস দিয়েছিলেন, "ম্যায় হু না !" তবে তাতে কাজ হয়নি ৷ গত বছরের অভিজ্ঞতার স্মৃতি এখনও টাটকা ৷ তাই আতঙ্কে দলে দলে দিল্লি ছাড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ বিভিন্ন রেল ও বাস স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক ৷ পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আইএসবিটি-সহ আনন্দ বিহারের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে জমা হয়েছেন প্রায় 5,000 পরিযায়ী শ্রমিক ৷ রেল স্টেশনের অবস্থাও একই রকম ৷
সোমবার দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণার সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, "আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, সরকার আপনাদের সম্পূর্ণ যত্ন নেবে ৷ আমি তো আছি, আমার উপর ভরসা রাখুন ৷" তিনি আরও বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, এটা কম সময়ের মাত্র 6 দিনের লকডাউন ৷ দয়া করে দিল্লি ছেড়ে যাবেন না ৷ তাতে আপনাদের প্রচুর টাকা, এনার্জি নষ্ট হবে ৷ দিল্লিতেই থাকুন ৷"
তবে সোমবার রাত 10টা থেকে আগামী সোমবার ভোর 5টা পর্যন্ত দিল্লিতে লকডাউন ঘো৷ষণার পরপরই দিল্লি ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ৷ তাঁদের কিছুদিনের জন্য অন্য জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ ৷ তবে কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে এই আশঙ্কা করছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷
আরও পড়ুন: মমতার দাবি মেনে সরাসরি টিকা কেনার অনুমতি রাজ্যগুলিকে
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর লকডাউন ঘোষণার পরই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা চরমে ওঠে ৷ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি থেকে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ ট্রাকে চেপে বাড়িতে ফেরেন ৷ আবার রাস্তাতেই প্রাণ যায় বহু শ্রমিকের ৷