জলপাইগুড়ি, 26 জানুয়ারি: সবে বছর শুরু হয়েছে ৷ লম্বা ছুটি নাৃ-নিয়ে বেড়িয়েই আসতে পারেন কাছেপিঠে কোথাও ৷ নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে বসে ওলটাতে পারেন ইতিহাসের পাতা ৷ ইতিহাস ভালবাসলে এই জায়গা আপনার কাছে ভ্রমণের আদর্শ জায়গা হতেই পারে ৷ জলপাইগুড়ির গরুমারা উদ্যানের একদম বিপরীতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হেরিটেজ বাংলোতে এবার রাত্রিনিবাস করতে পারবেন আপনিও ৷
বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বড়দিঘি চা বাগানের বড় বাংলো। চা বাগানের শতাব্দী প্রাচীন হেরিটেজ বাংলো গতবছর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য ৷ এখানে পর্যটকরা এলে শতাব্দী প্রাচীন বাংলোতে থাকার সুবিধা যেমন পাবেন, তেমনি চা বাগানের চা পাতা তোলা থেকে শুরু করে কীভাবে তৈরী হয়, তাও হাতে কলমে দেখানো হবে পর্যটকদের ৷ জানা গিয়েছে, 1858 সালে ভাইসরয় থাকাকালীন লর্ড ক্যানিং এসেছিলেন এই বাংলোতে। সে সময় ট্রেভার ছিলেন বড়দিঘি চা বাগানের ম্যানেজার। ইতিহাস বিজরিত এই বড়দিঘি চা বাগানের হেরিটেজ 'বড়া বাংলো'র পাশেই রয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান। পাশেই বয়ে গিয়েছে মূর্তি নদী।
বড়দিঘি চা বাগানের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রোহিত পারিখ বলেন, "এই হেরিটেজ বাংলোতে থেকেছেন ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং। আমাদের কাছে প্রচুর মানুষ এই হেরিটেজ বাংলোতে থাকার জন্য জানতে চেয়েছেন। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমরা। বাংলোতে 6টি ঘর রয়েছে। পর্যটকরা এলে আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে তাঁদের সব ধরনের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। একসঙ্গে অনেকে গ্রুপে এলে পিকনিক করার সুবিধা করে দেওয়া হয়।"
রায়ডাক সিন্ডিকেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজবিন্দর সিং বলেন, "রাজ্য সরকারের চা ও পর্যটন শিল্প নীতিকে কাজে লাগিয়েই আমরা বাগানে চা ও পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছি। অনেকের শহরের কোলাহল থেকে একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পছন্দ করেন ৷ তাই আমরা রাজ্য সরকারের টি-ট্যুরিজম প্রকল্পের মধ্যে এই হেরিটেজ বাংলোটিকে রেখেছি। নিরিবিলিতে হেরিটেজ বাংলোতে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। পর্যটকদের জন্য সুইমিং পুলেরও ব্যবস্থা করা রয়েছে ৷"