হায়দরাবাদ:বাস, ট্রেন ও সাধারণ যেকোন যানবাহনের থেকে বিমানের ভাড়া সব থেকে বেশি ৷ জানেন কী এর আসল কারণ জ্বালানী ৷ বিমানে যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটি আসলে সাধারণ যানবাহনের জ্বালানি থেকে অনেকটাই আলাদা ৷সাধারণ গাড়িতে যে পেট্রল ব্যবহৃত হয়, বিমানে সেটি ব্যবহার করা হয় না ? বিমানে একটি বিশেষ ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হয় ৷ যেটি কেরোসিন ভিত্তিক জ্বালানি ৷ এই জ্বালানিকে জেট এ, জেট 1 বা অ্যাভিয়েশন কেরোসিন QAVও বলা হয়। এটি একটি বর্ণহীন এবং অত্যন্ত দাহ্য তরল।
পুরনো স্মার্টফোন থেকে সহজে হোয়াটঅ্যাপের চ্যাট ব্য়াকআপ, কীভাবে ?
বিমানের বিশেষ জ্বালানি: বিমানের যে বিশেষধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটি -58°F(ফারেনহাইট) থেকে 122°F পর্যন্ত তাপশক্তি উৎপন্ন করতে পারে। সাধারণ পেট্রল এই তাপশক্তি উৎপাদনে অক্ষম । পেট্রোলের কম ফ্ল্যাশ পয়েন্ট, অস্থিরতা এবং সীমিত ঘনত্ব কারণে এটি বিমান উড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে না ৷
এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (ATF): বিমানগুলি ATF ফুয়েলের উপর নির্ভর করে, যা জেট ফুয়েল নামেও পরিচিত। এটি একটি বিশেষ কেরোসিন-ভিত্তিক জ্বালানি।
1. ঘনত্ব বেশি : ATF-এর প্রতি ইউনিট ওজনের জ্বালানিতে উচ্চ তাপশক্তি উৎপন্ন করতে পারে ৷ যা বিমানে জ্বালানি খরচ কমায়। এছাড়াও, এই জাতীয় জ্বালানি বিমানটি চালাচলের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ৷
2. হাই ফ্ল্যাশ পয়েন্ট: ATF (এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল) এর উচ্চ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট জ্বালানি পরিচালনার পাশাপাশি ফ্লাইটের সময় ইগনিশনের ঝুঁকি হ্রাস করে।
3. ঠান্ডা-আবহাওয়া জটিল: এটিএফ জ্বালানি খুব কম তাপমাত্রাযতেও তরল অবস্থাতে থাকে। ফলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে।
4. উচ্চতায় স্থিতিশীলতা: এটিএফ জ্বালানী উচ্চচাপের ক্ষেত্রেও বিশেষ বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
রাত পোহালেই বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ, ভারতে দৃশ্য়মান হবে কি ?
এভিয়েশন ফুয়েলের প্রকারভেদ:
বিমানে ব্যবহৃত দুটি প্রাথমিক ধরনের ATF জ্বালানি রয়েছে।
1. Jet-A1 : সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জ্বালানি, যার ATF ফ্ল্যাশ পয়েন্ট 38°C (100°F)।