বারাসত, 23 অগস্ট: বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে রাস্তায় ৷ সেই জল পাড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক মহিলা ৷ কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হল না অঞ্জনা বিশ্বাসের ৷ হঠাৎ রাস্তার জমা জলে পড়ে গেলেন তিনি ৷ উপুড় অবস্থায় পড়ে রইল তাঁর নিথর দেহ ৷ অনুমান, জমা জলে বিদ্যুতের খোলা তারে হাত লেগে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার ৷ বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বারাসতের কোকো বাগান এলাকায় ৷
বারাসতে জলের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে মৃত্যু মহিলার (ইটিভি ভারত) পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা ৷ এর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয় উত্তর 24 পরগনার সদর শহর বারাসতে ৷ একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড ৷ জল দাঁড়িয়ে যায় বিভিন্ন রাস্তাতেও ৷ ব্যতিক্রম ছিল না কোকো বাগান এলাকা ৷ ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট ৷ কোনটা রাস্তা, আর কোনটা ড্রেন!তা চেনার উপায় নেই।
তার মধ্যে বাড়ি ফিরতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন তিনি ৷ মনে করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি নার্সারি স্কুলে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন ওই মহিলা ৷ স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার ৷ যদিও,মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে।
এদিন বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে ওই মহিলা ফের বাইরে বেরিয়েছিলেন ৷ রাত হয়ে যাচ্ছে দেখে, তাঁর স্বামী ফোন করেন তাঁকে। তখন ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে জানিয়েছিলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন তিনি ৷ তার আগেই বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার একধারে লাইটপোস্টে হাত দিতেই ছিটকে পড়েন মহিলা ৷ বিকট আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা কয়েকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই তিনি উপুড় হয়ে পড়ে আছেন বৃষ্টির জলে ৷
সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরে ৷ ঘটনাস্থলে আসে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা, আসে বারাসত থানার পুলিশও ৷ এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ওই মহিলাকে জল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷