জলপাইগুড়ি, 3 জানুয়ারি: কোনও চা-বাগানে মালিকপক্ষ নেই ৷ কোথাও আবার মালিকপক্ষ থাকলেও সময়মতো মজুরি মেলে না । চরম দুরবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন জেলার বেশ কয়েকটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা । সংসার চালানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে রায়পুর, কিলকট, নাগেশ্বরী, বাগরাকোট-সহ বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকদের ৷ তাঁদের সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন ৷
বর্তমানে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রায়পুর চা-বাগানের শ্রমিকরা অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছেন । প্রায় 700 শ্রমিকের কোনও স্থায়ী কাজ নেই । মাত্র 150 টাকা মজুরিতে চা-পাতা তোলার কাজ করে তাঁরা দিন কাটাচ্ছেন । দ্রুত বাগানের পুরনো লিজ বাতিল করে নতুন মালিককে দিয়ে বাগান খোলার দাবি জানাচ্ছেন চা-শ্রমিকরা ।
রায়পুর চা-বাগান 2012 সালে সংবাদের শিরোনামে এসেছিল মৃত্যুমিছিলকে কেন্দ্র করে । 2014 সালে বাগানটি একটি নতুন মালিকের হাতে খোলা হলেও গত বছর মালিকপক্ষ বিনা নোটিশে বাগান ছেড়ে চলে যায় । এরপর 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাগানের কাজ এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায় । চা-বাগানে শ্রমিকরা মালিকহীন অবস্থায় রয়েছেন ।
রায়পুর চা-বাগানের শ্রমিক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান, প্রধান হেমব্রম বলেন, "প্রশাসন আমাদের শুধু আশ্বাস দিচ্ছে যে, বাগান খোলা হবে ৷ কিন্তু বাগান খুলছে না ৷ আমরা চাই প্রশাসন অবিলম্বে বাগান খুলুক, নাহলে বাগান শ্রমিকরা এর থেকেও বড় আন্দলনে নামতে বাধ্য হবে । গত বছর থেকে আমরা অসহায় অবস্থায় রয়েছি । কোনও রকমে বাগানের পাতা তুলে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা । এখন চা-পাতা তোলা বন্ধ, ফলে শ্রমিকরা সবাই কাজও পাচ্ছেন না ।"