সল্টলেক, 21 জানুয়ারি: নিয়োগপত্রের দাবিতে সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনের ভিতরে বসে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিযোগ প্রক্রিয়ায় 9 হাজার 533 আসনে বাকি 301 জনের নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে । এই দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরি প্রার্থীরা ৷ পরে বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷
বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আচমকা এপিসি ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা ৷ তখন বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বচসা বাধে ৷ পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের ভবনের চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও তা শোনেননি বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ৷
এক চাকরি প্রার্থী মীরন মণ্ডল বলেন, "আমরা এর আগে স্যরের (প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল) সঙ্গে দশ বার দেখা করেছি ৷ তিনি প্রতি বার বলেছেন আমাদের কাছে সিট নেই ৷ আমাদের কাউন্সেলিংয়ের নোটিশ আসবে এবং আমরা প্রত্যেকটি ছেলে চাকরি পাবে, এই নিশ্চয়তা যদি আমরা না পাই তাহলে এখানেই আমরা আমৃত্যু অনশনে বসব ৷ এই আন্দোলন বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হবে ৷ আমরা স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করব ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমরা 2014 ও 2017 সালে টেট পরীক্ষা পাশ করেছি ৷ তিন-তিনটে প্যানেল থেকে আমাদের বাদ দিয়েছে ৷ আমরা প্রত্যেকে ডিএলএড প্রার্থী ৷ প্রাইমারির জন্য প্রশিক্ষণ পাওয়া যোগ্য প্রার্থী ৷ এই প্যানেলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, 9 হাজার 533 জন নিয়োগের যোগ্য ৷ এর মধ্যে 9 হাজার 174 জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ৷" তিনি জানান, বাকি আরও 56 জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ৷ বাকি জেনারেল এবং ওবিসি-বি ক্যাটাগেরির চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগপত্র হাতে পাননি ৷
দাবি নিয়ে চাকরি প্রার্থী মীরন মণ্ডল বলেন, "প্যানেলে আমাদের নাম আছে ৷ 2025 সালের 31 জানুয়ারি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ এই সময়ের মধ্যে আমাদের নিয়োগপত্র না দিলে, এই প্যানেলের সময় শেষ হয়ে যাবে ৷ আজই ওনাকে নোটিশ দিতে হবে ৷ নোটিশ দিলে আমরা এখান থেকে চলে যাব ৷ নাহলে আমাদের যা করণীয়, আমরা তাই করব ৷"
2022 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা চাকরিপ্রার্থীরা সকলেই 2014 এবং 2017 সালের D EL.ED প্রার্থী ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পর্ষদ/রাজ্য সরকার কর্তৃক 9 হাজার 533 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিযোগ করার জন্য যে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছেন, সেই মেধাতালিকায় সকলের (301 জনের) নাম নথিভুক্ত আছে ৷
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে ৷ শুধুমাত্র 301 জন নিয়োগপত্র পাননি ৷ যাঁরা 5 শতাংশ (301 জন) সকলের উদ্বেগ ভীতি একটাই, কবে নিয়োগপত্র পাবেন বা তা পেতে আর কত দেরি হবে ৷ দীর্ঘ 7-10 বছরের অপেক্ষা করে চাকরি প্রার্থীরা হতাশ ৷ বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, "এখন সকলের বয়স প্রায় শেষের দিকে, এই বঞ্চনার হাত থেকে যেন মুক্তি পাই ৷ 301 জন সকলেই যেন নিয়োগ পাই ৷"
