কলকাতা, 21 জানুয়ারি: আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরের ঘটনায় কেস ডাইরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। যে ভাবে ওই জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ । আগামিকাল, বুধবার রাজ্যকে কেস ডাইরি আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
- বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আসফাকুল্লা নাইয়ার হয়ে বলেন, "অভিযোগ যিনি করেন তিনি লিখেছেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ডাক্তারি করার অভিযোগ। তিনি বেসরকারি চিকিৎসা করছেন। তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হোক, এমনটাই আর্জি জানানো হয় অভিযোগপত্রে। অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় তিনি নিজের নামে মিথ্যা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তাঁর নামে কখনও কেউ অভিযোগ করেনি।"
- শীর্ষাণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আইনজীবী জানান, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্বাস ভঙ্গের। সিঙ্গুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে তিনি প্র্যাকটিস করতেন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বলে অভিযোগ। রাজু বক্সি নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেন।
- কিন্তু বিচারপতি ঘোষ রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, "এটা একটা অস্পষ্ট এফআইআর। আপনি পরে এফআইআর করতে পারতেন! অভিযোগ দায়ের হল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় আর তা খতিয়ে না-দেখেই এফআইআর দায়ের হল? অভিযুক্তের বাড়িতে পুলিশ চলে গেল?
যেভাবে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে অসন্তুষ্ট বিচারপতি। বিচারপতির আরও বক্তব্য, "রাহুল ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নামে প্রেসক্রিপশন। তিনি যদি অভিযোগ করতেন, তা-ও ঠিক ছিল। কিন্তু অভিযোগ করেছেন অন্য আর এক ব্যক্তি? পুরো ব্যাপারটাই খুব একটা স্পষ্ট নয় ৷"
- রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষাণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়- অন্তত পাঁচটা প্রেসক্রিপশন পাওয়া গিয়েছে যেখানে তিনি নিজের ডিগ্রি বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
- বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য-পুরো বিষয়টিই ডাক্তারকে বদনাম করার জন্য। লোকজনের কাছে মিথ্যা প্রচার করার জন্য।
উল্লেখ্য়, গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শো-কজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি) হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে । এই অভিযোগে আসফাকুল্লাকে 7 দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে তল্লাশি করে বিধাননগরের পুলিশ। সোমবার আসফাকুল্লাকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ডেকে পাঠানো হয়। যদি তিনি হাজিরা দেননি বলেই জানা যাচ্ছে।