মেদিনীপুর মেডিক্যালের 12 জন চিকিৎসককে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে ৷
কলকাতা, 17 জানুয়ারি:শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ যাচ্ছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস সংগঠনের প্রতিনিধিরা ৷ সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা । যোগ দেবেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও । সব মিলিয়ে 5-6 জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে মেদিনীপুরে ৷
এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক পরিচয় পান্ডা বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রোষের কারণে সরকারি চিকিৎসকদের গাফিলতি বলে ঘটনাটিকে দেখানো হচ্ছে । তাই আমরা যাব ৷ সহমর্মিতা দেখাব । কারণ সরকার নিজের দোষ ঢাকার জন্য চিকিৎসকদের উপর দায় চাপাচ্ছে ৷"
কী বললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ? (ইটিভি ভারত)
সম্প্রতি, জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশ ৷ সেই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল 5 টায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা ৷ সেখানেও উপস্থিত থাকবেন সিনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা । এই সমাবেশে যোগদানের জন্য সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ জুনিয়র চিকিৎসক পরিচয় পান্ডা বলেন, "কে এই অভিযোগ জানিয়েছেন ? কেন সার্চ ওয়ারেন্ট বের করা হল ? এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ ধারনা হওয়া দরকার ।"
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৈঠকে মেদিনীপুর মেডিক্যালের 12 জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন তিনি ৷ পাশাপাশি, এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে ৷ মুখ্য়মন্ত্রীর এই নির্দেশের পর 17 জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করেন অ্যানেস্থেসিয়া ও গায়নেকোলজিস্ট- দু'টি বিভাগের 22 জন চিকিৎসক ৷
বৃহস্পতিবার সমস্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ বৈঠকের পর মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশের তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা ৷ জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা 7 ডিসেম্বর সরব হয়েছিলেন এই আর এল স্যালাইনের বিরুদ্ধে । এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে চিকিৎসকদের উপর দায় চাপালেন । অথচ, স্যালাইন নিয়ে কোনও কথা বললেন না । এটা আসলে একটা প্রতিহিংসা রাজনীতির পরিচয়।"