ব্যারাকপুর, 28 অগস্ট: বিজেপির ডাকা বাংলা বনধে ভাটপাড়ায় গুলি চলার ঘটনায় এবার মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বুধবার বিকেলে সোদপুরে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবিষয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বলেন, "প্রতিবাদ হোক। কিন্তু গুলি চলুক, সেটা কখনওই আমরা চাই না। কারও প্রাণহানি হোক সেটাও কাম্য নয়। এসব দেখতে আমাদের ভালো লাগছে না।"
বাংলা বনধে এদিনই ভাটপাড়ায় অর্জুন ঘনিষ্ট বিজেপি নেতা প্রিয়াংঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে একের পর এক গুলি। গুলিতে দু'জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। যার মধ্যে আহত একজনের আবার গুলি লেগেছে বলেও খবর। সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আন্দোলন চলাকালীন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটা আমাদের আরও দুঃখের বিষয় হবে। শুধু বনধ নয় ! যে কোনও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। গতকাল নবান্ন অভিযানের সময়ও যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে তো আমার মনের দুঃখ আরও বেড়ে যেত।"
এদিকে, বিজেপির ডাকা বনধে এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে রেল ও সড়ক অবরোধ হয়। এর ফলে সাময়িক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকেও। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বলেন, "মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হোক, সেটা আমাদেরও খারাপ লাগে। এটা আমরাও চাই না।" বিজেপির বাংলা বনধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন ফের নির্যাতিতার বাবা-মা দু'জনেই বলেন, "বনধের পক্ষে-বিপক্ষে কোনও কথায় বলব না। বনধ আমরা সমর্থনও করিনি। আবার ব্যর্থ হোক, সেটাও চাইনি। আমরা চাই, প্রতিবাদ চলুক। সে যেভাবেই হোক। সাধারণ মানুষ, এমনকী বিশ্ববাসীও ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই আন্দোলনে। তাই, আমরা প্রতিবাদের পক্ষে।"
কোথাও কী প্রতিবাদ স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে ? কী মনে হচ্ছে সিবিআই কী বিচার দিতে পারবে ? এর উত্তরে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সবাই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মরণপণ আন্দোলন চলছে। আমাদের তো কারও ওপর আস্থা রাখতেই হবে। প্রথম তো আমরা পুলিশের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু, পরে তাঁদের কাজকর্ম দেখে অসন্তুষ্ট হই আমরা। চেয়েছিলাম অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের আমরা জানিয়েছি, আপনাদের মতো এতবড় একটা সংস্থা। যাদের সুনাম রয়েছে। সেই সুনাম আপনারা বজায় রেখে সঠিকভাবে তদন্ত করুন। আমরা চাই, এর একটা বিহিত হোক। ওনারা আমাদের পাশে আছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।"