শিলিগুড়ি, 16 নভেম্বর: অবশেষে দীর্ঘ চার মাস পর চালু হচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা । রবিবার এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ের পথে আবার ছুটবে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন ।
ঘুম থেকে দার্জিলিং রুটে জয়রাইড পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল এতদিন ৷ তবে তা সত্ত্বেও পর্যটকদের মধ্যে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে এনজেপি থেকে দার্জিলিং রুটে টয়ট্রেন পরিষেবার আলাদাই চাহিদা থাকে । আর এই পরিষেবা চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পর্যটনমহলে ।
ফের পাহাড়ের বুক চিড়ে দৌড়বে টয়ট্রেন, কবে হবে এনজেপি-দার্জিলিং রুটে পরিষেবা শুরু? (ইটিভি ভারত) দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের (ডিএইচআর) ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, "গত 5 জুলাই থেকে এই রুটে টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল । পাহাড়ে ধসের কারণে টয়ট্রেনের লাইনের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ তার জন্য ওই রুটে টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল । শুক্র ও শনিবার ট্রায়াল রান হয়েছে । রবিবার থেকে ফের স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা ।"
হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল এন্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "এই পরিষেবা ফের একবার চালু হওয়ায় আমরা খুশি ৷ তবে রেল কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে যাতে আগামীতে এই পরিষেবা যেন ব্যাহত না হয় । বারবার পরিষেবা ব্যাহত হলে ইউনেসকো হেরিটেজের এই শিরোপা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ।"
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন ও জুলাই মাসে টানা বৃষ্টির কারণে তিনধারিয়া, মহানদি-সহ একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটে । লাইন মেরামতির কাজ চললেও বারবার ধস নামতে থাকে ৷ যার ফলে লাইনকে টয়ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা যাচ্ছিল না । তাই বারবার টয়ট্রেন চালুর দিন পিছিয়ে যাচ্ছিল ।
সামনেই বড়দিনের ছুটির মরশুম । তার আগে এনজেপি দার্জিলিং রুটে ফের টয়ট্রেন চালু হওয়াটা পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা বলে মনে করছে ট্যুর অপারেটররা । বিদেশি পর্যটকরা এনজেপি থেকে টয়ট্রেনে চেপে দার্জিলিং ভ্রমণ করতে চান । ধসের কারণে বন্ধ হওয়ার আগে গত জানুয়ারি মাসে পাঁচবার লাইনচ্যুত হয়েছে টয়ট্রেনের ইঞ্জিন । এক মাসের মধ্যে এতবার লাইনচ্যুত হওয়ার ওই রুটে টয়ট্রেনে চড়া নিয়ে পর্যটকদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল ।
চলতি বছরের 25 অক্টোবর থেকে 4 নভেম্বর পর্যন্ত পুজোর মরশুমে 5 হাজার 744 জন যাত্রী জয়রাইড পরিষেবা গ্রহণ করেছিলেন । সেই সময়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে টিকিট বিক্রি করে 69 লক্ষ 24 হাজার 500 টাকা উপার্জন করেছে । দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত জয়রাইড সার্ভিসের মাধ্যমে এই উপার্জন হয়েছে ।